জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে একসঙ্গে বসে ইফতার করেন সমাজের সব স্তরের মানুষ। পবিত্র রমজান এলেই এ মসজিদে অন্য রকম এক আবহ। নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত আর জিকির-আজকারে সারা দিনই মুখর মসজিদ অঙ্গন। সন্ধ্যায় দেখা যায়, হাজারো রোজাদার মুসল্লি কাতারবদ্ধ হয়ে ইফতার করছেন। গতকালও চিরপরিচিত এ দৃশ্যের দেখা মিলল।

গতকাল আসরের পরপর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে গিয়ে দেখা যায়, নামাজ আদায় করেই মসজিদের পূর্ব চত্বরে মুসল্লিরা সারিবদ্ধভাবে বসে পড়েছেন। বসে বসে কেউ নিঃশব্দে তসবিহ জপছেন, কেউ বা মৃদুস্বরে করছেন জিকির। পাশেই একদল মানুষ ইফতার বিতরণ করা নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। কথা বলে জানা গেল, তাঁরা সবাই বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটির স্বেচ্ছাসেবক। আসরের নামাজের পরপরই তাঁরা ইফতারি বিতরণে মনোযোগী হন।

বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মানিক বলেন, ‘দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) প্রেসিডেন্ট ও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটির প্রধান উপদেষ্টা সায়েম সোবহান আনভীর কর্তৃক এবার তৃতীয়বারের মতো আয়োজন চলছে। গত বছর আমাদের এখানে ৮০ হাজার মানুষের জন্য ইফতারির আয়োজন করা হয়েছে। এ বছর ১ লাখ লোকের ইফতারির আয়োজন করা হবে।’ মিজানুর রহমান আরও বলেন, স্থানীয় লোকজন ছাড়াও দেশের দূরদূরান্ত থেকে আসা বহু মানুষ বায়তুল মোকাররমে নামাজ আদায় করেন। রমজানের সময় অনেকে বুঝতে পারেন না কোথায় ইফতার করবেন। বহু মানুষ আছেন সামর্থ্যহীন। তাঁদের সবার জন্যই এ ব্যবস্থা। ইফতার ছাড়াও বসুন্ধরা গ্রুপের উদ্যোগে এবার আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ ছাড়া রমজান শেষ হলে নতুন করে ওমরাহয় পাঠানোর কর্মসূচি শুরু হবে। ইফতারপূর্ব দোয়া ও মোনাজাতে ইসলামের জন্য বসুন্ধরা গ্রুপের খেদমত কবুল ও মঞ্জুর করে নেওয়ার জন্য আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম মহিউদ্দিন কাশেম। দোয়া মোনাজাত শেষে একসঙ্গে ৩ হাজার মুসল্লি ইফতার করেন।