বুধবার, ১৩ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা
এস এম মান্নান কচি

শ্রমিকদের সঙ্গে ঈদ করতে চাই

শাহেদ আলী ইরশাদ

শ্রমিকদের সঙ্গে ঈদ করতে চাই

বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি হতে যাওয়া এস এম মান্নান কচি বলেছেন, ‘ঈদের আগে বেতন ও উৎসব ভাতা পরিশোধ করে শ্রমিক ভাইবোনদের সঙ্গে ঈদ উদ্যাপন করতে চাই। এ চ্যালেঞ্জ নিয়েই আমি দায়িত্ব গ্রহণ করতে যাচ্ছি।’ গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।

এস এম মান্নান কচি বলেন, ‘এ মুহূর্তে সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক সংকট চলছে। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির পাশাপাশি গত ছয় মাসে বাংলাদেশের পোশাকের দাম কমেছে ৬ থেকে ১৮ শতাংশ। আবার উৎপাদন খরচ বেড়েছে প্রায় ৪০ শতাংশ। ফলে আমরা একটি সংকটকাল অতিক্রম করছি। আবার আমাদের সামনে রোজার ঈদ রয়েছে। ঈদের আগে মজুরি ও উৎসব ভাতা পরিশোধ করে শ্রমিক ভাইবোনদের সঙ্গে ঈদ উদ্যাপন করতে চাই আমরা। এটা একটা বিরাট চ্যালেঞ্জ। সে চ্যালেঞ্জ নিয়েই আমি দায়িত্ব গ্রহণ করতে যাচ্ছি।’ সেহা ডিজাইন (বিডি) লিমিটেডের চেয়ারম্যান এস এম মান্নান কচি পোশাক রপ্তানিকারকদের শীর্ষ সংগঠনের ২০তম সভাপতি হতে যাচ্ছেন। ৯ মার্চ অনুষ্ঠিত বিজিএমইএ’র ২০২৪-২৬ মেয়াদে পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনে ঢাকার ২৬ ও চট্টগ্রামের ৯-মোট ৩৫ জন পরিচালকের পদে পূর্ণ প্যানেলে জয়ী হয়েছে এস এম মান্নান কচির নেতৃত্বে সম্মিলিত পরিষদ। ২ হাজার ৪৯৬ ভোটের মধ্যে ১ হাজার ৫১০ ভোট পেয়েছেন কচি। তিনি ঢাকা ও চট্টগ্রামে উৎসবমুখর পরিবেশে বিজিএমইএ নির্বাচনে তাঁকে এবং তাঁর প্যানেল সম্মিলিত পরিষদকে নিরঙ্কুশভাবে জয়যুক্ত করে বিজিএমইএ পরিচালনার ম্যান্ডেট দেওয়ার জন্য বিজিএমইএ সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ভোটাররা আমাদের ওপর আস্থা রেখেছেন। তাই বিজিএমইএ’র সব সদস্যের প্রত্যাশা পূরণ করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করব। নির্বাচনের আগে আমরা দুটি প্যানেলে ছিলাম, এখন আমরা সবাই একটি প্যানেলে। সম্মানিত ভোটাররা আমাদের ওপর বিশ্বাস ও আস্থা রেখেছেন। নিরঙ্কুশভাবে আমাদের বিজয়ী করেছেন। আমরা একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছি। সেটা বড় কথা নয়। যাঁরা নির্বাচিত হননি, তাঁদের মধ্যে আগ্রহীদের নিয়ে কাজ করতে চাই। দেশের সম্পদ পোশাকশিল্পের সংকট মোকাবিলা করব। সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব।’ এস এম মান্নান কচি বলেন, ‘আমরা স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পর প্রণোদনা অব্যাহত রাখতে সরকারের সঙ্গে কাজ করব। বাংলাদেশ আর দুই বছর পর অর্থাৎ ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে উন্নয়নশীল দেশের তালিকাভুক্ত হবে। আমাদের প্রতিবেশী এবং প্রতিযোগী দেশগুলো রপ্তানি খাতে তাদের প্রণোদনা অব্যাহত রেখেছে।’ এমন প্রণোদনা অব্যাহত রাখতে একটি বিকল্প ব্যবস্থা চালুর প্রয়োজন হতে পারে বলে মনে করেন কচি। তিনি বলেন, ‘সমাধান খুঁজে বের করতে আমরা সরকারকে অনুরোধ করব বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী কমিটি গঠন করতে।’ আকস্মিক প্রত্যাহারের পর রপ্তানিকারকদের নগদ প্রণোদনা পুনরায় বহাল করার জন্য সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। ২৩ মার্চ নবনির্বাচিত পরিচালকরা ২০২৪-২৬ মেয়াদের জন্য এস এম মান্নান কচিকে বিজিএমইএ’র সভাপতি এবং অন্যান্য সহসভাপতি মনোনীত করার কথা রয়েছে। বিজিএমইএ’র বর্তমান বোর্ডের মেয়াদ ৯ এপ্রিল শেষ হচ্ছে। ওই দিনই নতুন বোর্ডের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করা হবে।

সর্বশেষ খবর