হবিগঞ্জ শহরে একটি হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় কলেজছাত্র শহীদুল ইসলাম (২৫) এখন মৃত্যুপথযাত্রী। এ নিয়ে সোমবার ওই হাসপাতালে রোগীর অভিভাবকদের সঙ্গে হট্টগোলসহ হাতাহাতি হয়েছে।

জানা যায়, আজমিরীগঞ্জ উপজেলার জলসুখা গ্রামের মইনুল ইসলাম খানের ছেলে আজমিরীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের ডিগ্রি প্রথম বর্ষের ছাত্র শহীদুল ইসলাম অ্যাপেনডিসাইটিস ব্যথা নিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় শহরের নতুন পৌরসভা সড়কের মাদার কেয়ার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। রাত ১১টায় চিকিৎসক শাহ রেজাউল করিম অপারেশন করার সময় রোগীর খাদ্যনালি কেটে ফেলেন। রক্তক্ষরণ শুরু হলে রোগী অচেতন হয়ে পড়েন। পর দিন তার চেতনা ফিরে এলেও রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়নি। এতে স্বজনরা বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালায় এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য যা যা দরকার তা করা হবে বলে স্বজনদের আশ্বস্ত করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে রোগীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল থেকে সিলেট রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সোমবার এ নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে রোগীর স্বজনদের বাগ্বিতণ্ডা ও হট্টগোল হয়। রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, অ্যাপেনডিসাইটিসের ব্যথার অপারেশন করতে গিয়ে ওই ডাক্তার শহীদুলের খাদ্যনালি কেটে ফেলায় তার অবস্থা সংকটাপন্ন। তারা হাসপাতালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের কাছে দাবি জানান। এ বিষয়ে হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আপন আহমেদ জানান, অ্যাপেনডিসাইটিস ব্যথার অপারেশন করতে গিয়ে খাদ্যনালিতে ইনফেকশন পাওয়া যায়। অভিভাবকদের সম্মতিতেই অপারেশন করা হয়েছে। তার পরও ওই রোগীর চিকিৎসার ব্যয়ভার বহনের দায়িত্ব নিয়ে সিলেটে পাঠানো হয়েছে।