বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা
মিয়ানমারে সংঘাত

স্কুলে আশ্রয় বিজিপি সদস্যদের

কক্সবাজার ও টেকনাফ প্রতিনিধি

কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের মংডু এলাকা থেকে ১২ দিন ধরে থেমে থেমে গোলাগুলি ও মর্টার শেল বিস্ফোরণের শব্দ এলেও দুই দিন ধরে তা বন্ধ আছে। এখন কেবল রাতের বেলায় বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাচ্ছেন এপারের মানুষ। নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ৪৮ নম্বর সীমান্ত পিলার এলাকা দিয়ে গতকাল ভোর ৪টা ৩০ মিনিটে মিয়ানমারের অল্প ভিতর থেকে বড় বিস্ফোরণের শব্দ আসে। এতে সাহরি খেতে ওঠা রোজাদারদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।

এদিকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের জেরে নতুন করে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি) ১৭৭ সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। বর্তমানে তাদের নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবির তত্ত্বাবধানে বর্ডার গার্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাখা হয়েছে। সোমবার বিকাল থেকে তাদের এখানে রাখা হয়। ফলে দুই দিন বন্ধ রয়েছে ওই স্কুলের ৩৬২ জন শিক্ষার্থীর শিক্ষা কার্যক্রম।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, ‘যদিও অত্র স্কুলের বন্ধের বিষয়ে অফিশিয়াল সিদ্ধান্ত নেই, তবুও মনুষ্যদুর্যোগ হিসেবে মানবিক দিক বিবেচনা করে ১১ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল সাহল আহমদ নোবেল, বান্দরবান জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলে অত্র স্কুলে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।’ এর আগে ৪ ও ৭ ফেব্রুয়ারি সে দেশের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি এবং কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের বিপরীতে মিয়ানমার সরকারের বিভিন্ন স্থাপনায় আক্রমণ করলে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি, মিয়ানমার সেনাবাহিনী, কাস্টমস ও ইমিগ্রেশনসহ ৩৩০ জন সদস্য প্রাণভয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণ করেছিলেন। ১৫ ফেব্রুয়ারি তাদের মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর