বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা
সিপিডির সংবাদ সম্মেলন

মূল্যবৃদ্ধি নয়, বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভাড়া সমন্বয় করা উচিত

নিজস্ব প্রতিবেদক

ভর্তুকি সমন্বয়ের নামে ভোক্তার ওপর সরাসরি বিদ্যুতের বাড়তি দাম চাপানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বেসরকারি নীতি-গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। তারা বলছে, মূল্যবৃদ্ধি নয়, বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্যাপাসিটি চার্জ (কেন্দ্র ভাড়া) সমন্বয় প্রথম অগ্রাধিকার হওয়া উচিত। সরকার সমন্বয় বললেও এটি বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি, যা সরাসরি ভোক্তার ঘাড়ে পড়েছে। ‘সাম্প্রতিক সময়ে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি : ভর্তুকি সমন্বয়ের অন্য বিকল্প আছে কি?’ শিরোনামে গতকাল আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেছে সিপিডি। সংবাদ সম্মেলনে সিপিডির বক্তব্য উপস্থাপন করেন সংস্থাটির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, দ্রব্যমূল্য নিয়ে নাভিশ্বাস চলছে; এর মধ্যে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে ভোক্তার ওপর বাড়তি চাপ তৈরি করা হয়েছে। বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি গ্রহণযোগ্য নয়, এর বিকল্প করণীয় ছিল। সিপিডি বলেছে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণ শর্ত মেনে জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য সমন্বয় চালু করা হয়েছে। তাদের আরেকটি শর্ত হলো, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের ভর্তুকি সমন্বয় করা।

এটি আগামী তিন বছরে ধাপে ধাপে কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। গত বছর তিন দফা ৫ শতাংশ করে দাম বাড়ানো হয়েছে। গত মাসে এক দফায় বাড়ানো হয়েছে সাড়ে ৮ শতাংশ। কিন্তু এভাবে পুরোটা ভোক্তার ওপর না চাপিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচ কমাতে পারে সরকার।

সিপিডির চার প্রস্তাব : পরিকল্পনা অনুসারে বিদ্যুৎ কেন্দ্র অবসায়নে পাঠানো; ‘বিদ্যুৎ নেই, বিল নেই’ এমন শর্তে নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সঙ্গে চুক্তি করা; অল্প পরিমাণে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি করা এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করা। এতে বলা হয়, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ অ্যানার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) দাম বাড়ানোর সময় গণশুনানিতে ভোক্তার অংশ নেওয়ার সুযোগ ছিল। এতে সরকারি সংস্থার আয়-ব্যয়ের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হতো। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে আইন সংশোধন করে দাম সমন্বয়ের ক্ষমতা নিজের হাতে নিয়েছে সরকার। এতে নির্বাহী আদেশে মূল্যবৃদ্ধি করায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত হচ্ছে না। এটি আবার বিইআরসির হাতে ফিরিয়ে দেওয়া উচিত।

সিপিডির গবেষণা পরিচালক গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, বিকল্প প্রস্তাব চারটি বাস্তবায়িত করা হলে ২০২৮-২৯ অর্থবছরে ভর্তুকি তো দূরে থাকুক, উল্টো মুনাফা করতে পারবে পিডিবি। নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়িয়ে প্রতি বছর বড় অঙ্কের টাকা সাশ্রয়ের সুযোগ আছে। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন গবেষণা সহযোগী হেলেন মাশিয়াত, মাশফিক আহসান ও ফয়সাল কাইয়ূম।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর