শিরোনাম
শুক্রবার, ১৫ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা
সুপ্রিম কোর্টে মারামারি

রিমান্ড শেষে কারাগারে কাজল আগাম জামিন চেয়েছেন যুথি

নিজস্ব প্রতিবেদক

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ভোট গণনাকে ঘিরে অপ্রীতিকর পরিবেশ সৃষ্টির ঘটনায় হওয়া মামলায় বিএনপি-জামায়াতপন্থি নীল প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গতকাল ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুর রহমান এ আদেশ দেন।

গত ১০ মার্চ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন অন্য একটি আদালত। সেই রিমান্ড শেষে গতকাল তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এ মামলায় রুহুল কুদ্দুস কাজলের জামিন আবেদনের শুনানির জন্য ১৮ মার্চ দিন ধার্য রয়েছে। গত ৯ মার্চ সন্ধ্যায় রাজধানীর পল্টনে নিজ চেম্বার থেকে তাকে আটক করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। পরে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করলে তাকে এই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। গত ৬ ও ৭ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ মেয়াদেও কার্যকরী কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে ৭ মার্চ রাতে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুর রহমান সিদ্দিকীকে মারধরের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় পরদিন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এস আর সিদ্দিকী সাইফকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে রাজধানীর শাহবাগ থানায় এই মামলা করা হয়। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের স্বতন্ত্র সম্পাদক প্রার্থী নাহিদ সুলতানা যুথি ও বিএনপি সমর্থিত প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী রুহুল কুদ্দুসসহ ২০ জন আইনজীবীকে আসামি করা হয়। এই মামলায় বুধবার পাঁচ আইনজীবীকে তিন দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

অবশেষে প্রধান আসামি আইনজীবী যুথির আগাম জামিন আবেদন : নানা জল্পনা-কল্পনার মধ্যে অবশেষে হাই কোর্টে আগাম জামিন আবেদন করেছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে স্বতন্ত্র সম্পাদক প্রার্থী অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি। তিনি যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের স্ত্রী।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের নির্বাচনে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল, হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনায় রাজধানীর শাহবাগ থানায় দায়ের করা মামলায় অ্যাডভোকেট যুথি এক নম্বর আসামি। তিনি ছাড়াও মামলার আসামি অ্যাডভোকেট শাকিলা রৌশন, ব্যারিস্টার চৌধুরী মৌসুমী ফাতেমা (কবিতা) জামিন আবেদন করেছেন।

গতকাল হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করা হয়েছে। আগামী ১৮ মার্চ বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চে তাদের জামিন আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।

এর আগে ৮ মার্চ রাতে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল, হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনায় রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলা করা হয়। মামলায় স্বতন্ত্র সম্পাদক প্রার্থী অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি, বিএনপির প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ ২০ জনকে আসামি করা হয়।

সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুর রহমান চৌধুরী সাইফ হত্যাচেষ্টার অভিযোগে বাদী হয়ে এ মামলা করেন। মামলার পর রাতেই বিএনপির ব্যারিস্টার ওসমান চৌধুরীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। একই দিন যুথির বাসায় অভিযান চালিয়ে আরও চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন পল্টনের চেম্বার থেকে গ্রেফতার করা হয় ব্যারিস্টার কাজলকেও। গ্রেফতারকৃত ছয় আইনজীবীকে রিমান্ড শেষে এরই মধ্যে কারাগারেও পাঠানো হয়েছে। তবে প্রধান আসামি যুথিকে গ্রেফতার করতে না পারা নিয়ে আদালতপাড়ায় চলছে নানা আলোচনা।

সর্বশেষ খবর