শনিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

কূটনৈতিক মিশনগুলোকে কাজে লাগাতে হবে

ড. এম জামাল উদ্দিন

কূটনৈতিক মিশনগুলোকে কাজে লাগাতে হবে

বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. এম জামাল উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, অর্থ পাচার দীর্ঘদিনের সমস্যা। এটি প্রতি বছর বাড়ছে। আমাদের উন্নয়ন হচ্ছে, সঙ্গে অর্থ পাচার একটি বড় সমস্যা হিসেবে রয়ে গেছে। বিদেশে অর্থ পাচার হয়ে যাওয়ার পর সেটা ফেরত আনতে তেমন কিছু করার থাকে না। তবে ইচ্ছা থাকলে ফেরত আনা সম্ভব। সেজন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার থাকার সময় দেশে পাচারের টাকা ফেরত এসেছে। এম জামাল উদ্দিন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, অর্থ পাচার কারা করেছে কোন দেশে করেছে সেটা চিহ্নিত করা জরুরি। শুধু মুখে বললেই হবে না টাকা পাচার হয়েছে। কোন ব্যক্তি করেছে সেটা চিহ্নিত করা সরকারের কাছে কঠিন কিছু নয়। এমনকি কোন দেশে গেছে সেটাও বের করা সম্ভব। এগুলো চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ট দেশের কূটনৈতিক মিশনগুলোকে কাজে লাগাতে পারে। কূটনৈতিক মিশনসংশ্লিষ্ট দেশের কর্তৃপক্ষ বিশেষ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক, আইনশৃঙ্খলা সংস্থার সঙ্গে অভিযোগ জানাতে পারে। সেসব অভিযোগ তদন্তের মাধ্যমে পাচার করা অর্থ ফেরত আসতে পারে। এজন্য সংশ্লিষ্ট দেশের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি থাকা জরুরি। বাংলাদেশেও সেসব দেশ থেকে কেউ অর্থ পাচার করে আনলে সেটাও ফেরত দিতে হবে। ফিলিপাইন এই পদ্ধতিতে মার্কোসের পাচার করা বিপুল পরিমাণ অর্থ ফেরত এনেছে। তবে বিষয়টি সময়সাপেক্ষ। ফিলিপাইনে ১৯ বছর সময় লেগেছে। সময়সাপেক্ষ হলেও উদ্যোগ নিলে অর্থ পাচার রোধ করা সহজ হবে। অনেকে সাহস পাবে না পাচার করতে।

সর্বশেষ খবর