রবিবার, ১৭ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

সর্বজনীন ইফতার উৎসবের আমেজ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

সর্বজনীন ইফতার উৎসবের আমেজ

আজান দিতে আরও আধা ঘণ্টার মতো বাকি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির মাঠে ইতোমধ্যে ইফতারের জন্য জমায়েত হয়েছেন অনেকেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য যেকোনো জায়গার চেয়ে টিএসসির মাঠে সবচেয়ে বেশি মানুষ সম্মিলিত হয় ইফতারের জন্য। কেউ পরিবার, কেউ বন্ধুবান্ধব, কেউ আবার নিজেদের সংগঠনের পক্ষ থেকে এসেছেন ইফতার করতে। টিএসসির মাঠে গোল হয়ে ইফতার সামগ্রী নিয়ে বসেছেন তারা। প্রতিবারই রমজান মাসজুড়ে দেখা মেলে এই চিত্র। সম্মিলিতভাবে ইফতার করাটা যেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতির অংশ হিসেবে পরিণত হয়েছে। শুধু টিএসসি নয়, গোটা ক্যাম্পাসেই ইফতার সংস্কৃতি উৎসবে পরিণত হয়েছে।

সারা দিন রোজা পালন শেষে মাগরিবের আজানের ধ্বনি শোনার পরপরই ইফতার করা এক আনন্দের নাম। এই আনন্দ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার। কেবল ইসলাম ধর্মের মাঝে সীমাবদ্ধ না থেকে অন্য ধর্মাবলম্বীদের মাঝেও এ আনন্দ ছড়িয়ে পড়ায় তারাও এতে অংশ নেন।

টিএসসিতে ইফতারে অংশ নিতে আসা সনাতন ধর্মের অনুসারী জগন্নাথ হলের শিক্ষার্থী প্রসেনজিৎ চৌধুরী তূর্য বলেন, আমার ভালো লাগে যখন বন্ধুরা আমাদের দাওয়াত করে ইফতারে আসার জন্য। ইফতারের আনন্দ সবার জন্য। এমন আয়োজনগুলো আমাদের মাঝে আরও বেশি সম্প্রীতি তৈরি করে। আমাদের ক্যাম্পাসে যে এ ধরনের সম্প্রীতির আয়োজন হয় এবং সবাই উপভোগ করে, বিষয়টা আসলেই অনেক সুন্দর। মুহসীন হলের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম বলেন, আজকে আমরা ইফতার করছি আমাদের জেলাভিত্তিক সংগঠনের পক্ষ থেকে। এটি আমাদের জন্য একত্রিত হওয়ার, সবাই সবাইকে চেনার একটা উপলক্ষ। আমি মনে করি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধর্মীয় উৎসব উদযাপন করা একটা সুন্দর বিষয় এবং এটা অব্যাহত থাকা উচিত।

তবে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে আমরা যেন বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখি। টিএসটি ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের লাইব্রেরির সামনে, ডাকসু ক্যাফেটেরিয়া, মধুর ক্যান্টিনসহ অন্যান্য স্থানেও ইফতারকে কেন্দ্র করে রীতিমতো উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়। উল্লেখ্য, ইফতার শেষে মাঠ পরিষ্কার রাখার ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যায় টিএসসি কর্তৃপক্ষের।

ইফতারের পর যেন মাঠে আবর্জনা না থাকে তাই আগে থেকেই ময়লার গাড়ি এবং বালতি রাখা হয়েছে। ইফতার শেষেই পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের দেখা যায় স্থানটি পরিষ্কার করতে।

সর্বশেষ খবর