সোমবার, ১৮ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

দগ্ধ আরও তিনজনের মৃত্যু আশঙ্কাজনক ১৫

গাজীপুরে আগুন

নিজস্ব প্রতিবেদক

দগ্ধ আরও তিনজনের মৃত্যু আশঙ্কাজনক ১৫

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে গ্যাসের আগুনে দগ্ধদের মধ্যে আরও তিনজন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। ওই অগ্নি দুর্ঘটনায় দগ্ধদের মধ্যে এ নিয়ে ছয়জনের মৃত্যু হলো। আরও ২৩ জন এখনো হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তাদের মধ্যে ১৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। 

বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক পার্থ শংকর পাল জানান, গতকাল ভোর সাড়ে ৫টায় আরিফুল ইসলাম নামে ৩৮ বছর বয়সী একজনের মৃত্যু হয়। সকাল পৌনে ৭টায় মারা যান ২৫ বছর বয়সী মহিদুল খান। সন্ধ্যা ৭টায় মারা যান ২৫ বছর বয়সী নারর্গিস। তারা তিনজনই আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন। আরিফুলের বার্ন ছিল ৭০ শতাংশ, মহিদুলের ৯৫ শতাংশ ও মহিদুলের স্ত্রী নার্গিসের ৯০ শতাংশ। আরিফুলের গ্রামের বাড়ি রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আলাইপুর গ্রামে, বাবার নাম আবদুর রাজ্জাক। তিনি গাজীপুরে একটি পোশাক কারখানার আয়রন ম্যান হিসেবে কাজ করতেন। এক ভাই দুই বোনের মধ্যে ছোট আরিফুল। স্ত্রী সুমি আক্তারকে নিয়ে কালিয়াকৈরের টপস্টার এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন তিনি। আর মহিদুল সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর বেড়াকোলা খাপারা গ্রামের ছাবেদ খানের ছেলে।

তিনি গার্মেন্ট কারখানার জুট গোডাউনের শ্রমিক ছিলেন। আর তার স্ত্রী নার্গিসসহ দুজনেই গাজীপুরে ভাড়া বাসায় থাকতেন। সেখান থেকে তারা দুজনই কারখানায় ও গুদামে চাকরি করতেন। তাদের একমাত্র ছেলে গ্রামের বাড়িতে। সিলিন্ডারের আগুনে মারাত্মকভাবে দগ্ধ ৩২ জনকে রাতেই ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়। তাদের মধ্যে শনিবার তৈয়বা নামে চার

বছরের এক শিশু এবং মুনসুর আলী আকন্দ নামে ৪৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। শুক্রবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সোলেমান মোল্লা নামে ৪৫ বছর বয়সী আরেকজন। বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. তরিকুল ইসলাম জানান,  গাজীপুরে দগ্ধদের মধ্যে ২৩ জন এখন ভর্তি রয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

সর্বশেষ খবর