বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত-সংলগ্ন বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুমের কোণারপাড়া থেকে জামছড়ি পর্যন্ত ৬২ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের আরাকান প্রদেশে গতকাল বড় ধরনের কোনো গোলাগুলির ঘটনা ঘটেনি। তবে নাইক্ষ্যংছড়ির দোছড়ি ইউনিয়ন-সংলগ্ন জামছড়ি, লেম্বুছড়ি ও পাইনছড়ি সীমান্তের ওপারে হালকা গোলাগুলির শব্দ পাওয়া গেছে।
এদিকে স্থানীয় বাসিন্দারা বলেছেন, কয়েকদিনে বিদ্রোহী আরাকান আর্মির কাছে কোণঠাসা হয়ে মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) প্রায় ২০০ জওয়ান জামছড়ি সীমান্তের কাছাকাছি জিরো লাইনে অবস্থান নিয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, সুযোগ পেলেই তারা সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে ঢুকে পড়বে। এ অবস্থায় তাদের সম্ভাব্য অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিবি) কড়া অবস্থান নিয়েছে। এরই মধ্যে জামছড়ি বিওপির জনবল সংখ্যা আরও বাড়ানো হয়েছে। এ বিষয়ে বিজিবির পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যাচ্ছে না। তবে বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন বলেছেন, নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে সরকারকে সার্বক্ষণিক অবহিত করা হচ্ছে।