সোমবার, ১৮ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পতিত জমিতে ফল ও সবজির বাগান

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পতিত জমিতে ফল ও সবজির বাগান

জমি বলতে টিলাভূমির বাড়ির পাশে নিচু জায়গা। কাগুজে ভাষায় পতিত জমি। অবহেলায় পড়ে থাকা জমি। সেখানেই বুনা হয়েছে স্বপ্নের বুনন। স্বপ্ন কৃষিকে ঘিরে। বুনা হয়েছে ফল, সবজির বাগান। উঁকিও দিতে শুরু করেছে স্বপ্ন। বড়ই আর লেবুতে শুরু। আরও ডজন দেড়েক ফল, সবজি ফলবে সেই আশা। বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের কৌড়াতলী গ্রামে। রাজনীতির মাঠে পদবি বয়ে বেড়ানো আবদুল আওয়াল নিজেকে এখন পুরোদস্তুর কৃষক হিসেবে পরিচিত করে তুলছেন। বাড়ির পাশে ১২০ শতক জমিতে তিনি মিশ্র ফলের বাগান গড়েছেন। আম, কাঁঠাল, লিচু, বড়ই, মাল্টা, সফেদা, লেবু, বেগুন শোভা পাচ্ছে তার বাগানে। আবদুল আওয়ালের শুরুটা তিন বছর আগে। বড় ভাই আবদুস সালামের জমিতে একটা-দুটা করে গাছের চারা রোপণ করতে থাকেন। সংখ্যায় এটা ৩০০ ছাড়িয়েছে। ৮০টির বেশি বড়ই গাছে ঝুলছে ফল। বর্তমান অবস্থাতেই ৫০ হাজার টাকা দাম বলে গেছেন পাইকার। তবে লাখ টাকা বিক্রি করতে বড়ইগুলো আরও পরিপক্ব করতে চান তিনি।

কিছুদিন পূর্বে বাগান থেকে লেবু বিক্রি করেছেন আবদুল আওয়াল। আবদুল আওয়াল জানান, ফেসবুকে দেখি অনেকে কৃষি কাজ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। বড় ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালামের জমিতে কৃষি কাজ শুরু করেন বছর তিনেক আগে। তিনি বলেন, আগে ধানি জমি করতাম। এখন বাড়ির সামনের পতিত জমিতে ফলের বাগান করেছি। সঙ্গে কিছু সবজিও আছে। এখন ফসল পেতে শুরু করেছি। কৃষিকে ঘিরে আমার অনেক স্বপ্ন। সবার সহযোগিতা পেলে সেটা বাস্তবায়ন করব। কৃষি অফিসের লোকজন নিয়মিত এ বাগানের খোঁজ নেন বলে তিনি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমানের কথায় তিনি বাগান করতে বেশি উদ্বুদ্ধ হন। এ বাগানের জন্য যে আবদুল আওয়াল শ্রম দেন সেটা বোঝা যায় সেখানে গিয়ে। বাগানের মাঝেই ছোট্ট একটি ডেরা নির্মাণ করে রেখেছেন যেখানে তিনি থাকেন। আখাউড়া উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আশরাফুল হক বলেন, একজন রাজনীতিবিদ হয়েও আবদুল আওয়াল সফল কৃষক। নানা জাতের ফল থাকা বাগানটি ধীরে ধীরে আরও বেশি গাছে ফলন আসবে। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ বাগানটি একজন কর্মকর্তা নিয়মিত দেখাশোনা করছেন। তবে আমিও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে থাকি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানিয়া তাবাসসুম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা রয়েছে এক ইঞ্চি জমিও যেন পতিত না থাকে। এমন একটি পতিত জমিতেই মিশ্র ফলের বাগান করেছেন কৃষক আবদুল আওয়াল। তার বাগানে এখন শোভা পাচ্ছে দুই জাতের বড়ই। এ ছাড়া আরও বিভিন্ন জাতের ফল ধরতে শুরু করেছে।

সর্বশেষ খবর