মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

হতাশা উসকে দিচ্ছে আত্মহত্যার প্রবণতা

ড. তানজির আহম্মদ তুষার

রাবি প্রতিনিধি

হতাশা উসকে দিচ্ছে আত্মহত্যার প্রবণতা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তানজির আহম্মদ তুষার বলেছেন, সম্প্রতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি দেখা যাচ্ছে। এটার বেশ কিছু কারণের মধ্যে অন্যতম শেষ উপায়ান্তর না পেয়ে আত্মহত্যা, এমন কোনো ঘটনা যা পরিবার বা সমাজে বলতে না পেরে মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত থাকা এবং আবেগপ্রবণ হয়ে তাৎক্ষণাৎ সিদ্ধান্তে আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়া। তিনি আরও বলেন, সমাজে একটি ভুল ধারণা প্রচলিত আছে। মানসিক সমস্যার চিকিৎসা নিলেই সে মানসিক রোগী। ফলে চিকিৎসা নেওয়া থেকে দূরে থাকে। এতে বিষাদ আরও বাড়ে। এটাও আত্মহত্যা প্রবণতার অন্যতম কারণ। আবার অতিরিক্ত আদরে বেড়ে ওঠা শিক্ষার্থীদের জীবনযাত্রার মান ও নতুন পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইতে না পেরেও অনেকে বিষাদগ্রস্ত থাকে। দেখা গেছে বাবা-মা সব সময় সব কাজ করে দিয়েছে। তার ইচ্ছেই সব হয়েছে। এখন নতুন পরিবেশ যখন তার মতো সব হয় না। তখন সে সেটা মেনে নিতে পারে না। ফলে ডিপ্রেশনে থাকে। মূলত বাস্তবতার সঙ্গে এভাবে দিনের পর দিন খাপ খেতে না পেরে অনেক শিক্ষার্থী আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। করোনা পরবর্তী সমাজে নানা পরিবর্তনও শিক্ষার্থীদের ওপর মানসিক প্রভাব ফেলেছে। এ ছাড়া আত্মহত্যা নিয়ে মিডিয়ার ব্যাপক প্রচার বিরূপ প্রভাব ফেলছে। ড. তানজির আহম্মদ তুষার বলেন, এ অবস্থায় করণীয় হতে পারে, পিতামাতার সচেতন দৃষ্টিভঙ্গি ও সন্তানদের সব স্থানে খাপ খেয়ে চলতে পারার মতো যোগ্য করে গড়ে তোলা। শিক্ষাক্ষেত্রে আবেগ সম্পর্কীয় বুদ্ধিমত্তা বিষয়ক উন্নত প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের প্রসার ঘটানো, চিন্তার পরিবর্তন ঘটানো। যেমন মানসিক সমস্যা হলে চিকিৎসা না নিয়েই ঠিক হবে এমনটা না ভাবা, শিক্ষার্থীদের আবেগ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক উপায়গুলো প্রসারিত করা, সরকারি হাসপাতালে মনোচিকিৎসকের সংখ্যা বৃদ্ধি ও ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট নিয়োগ দিয়ে এ রোগের যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা করা।

সর্বশেষ খবর