জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত খুলনার উপকূলীয় কয়রার মানুষের জীবনযুদ্ধের গল্প শুনলেন জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) শুভেচ্ছা দূত ও সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া। মতবিনিময়ে দক্ষিণাঞ্চলে লবণাক্ততা সমস্যায় পানযোগ্য পানির সংকটের কথা তুলে ধরলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বললেন, গ্রামীণ উৎস থেকে পরিবারের পানযোগ্য পানি সংগ্রহের জন্য নারীদের বাড়ি থেকে বহুদূরে যেতে হয়। অনেক সময় লবণমুক্ত পানি পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। তবে নতুন ওয়াটার হারভেস্টিং সিস্টেম প্রকল্পে এখন তারা সহজেই লবণমুক্ত বিশুদ্ধ পানি পাচ্ছেন। ক্রাউন প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া গতকাল কয়রার মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নে প্রকল্পের আওতায় রেইন ওয়াটার হারভেস্টিং সিস্টেম, জলবায়ু সহনশীল জীবিকায়ন ও ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার পরিদর্শন করেন। ইউএনডিপি, ইউএনসিডিএফ, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, সুইডেন সরকারের অর্থায়নে ও বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন ওয়াটার হারভেস্টিং প্রকল্প পরিচালিত হচ্ছে। ক্রাউন প্রিন্সেস ইউনিয়নের শিকারিপাড়া এলাকায় জলবায়ু সহনশীল জীবিকায়নের অংশ হিসেবে ভেড়া পালন, মৎস্য চাষ এবং জলবায়ু ও জীবিকা উন্নয়ন সমবায় সমিতির মধু বিপণন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। তিনি মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে অবস্থিত ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার থেকে সেবা গ্রহীতারা কীভাবে সেবা পান তার সম্যক ধারণা নেন ও ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে ডিজিটাল সেন্টারের সুবিধা-সেবাগুলো নিয়ে পটগানের পরিবেশনা উপভোগ করেন। পরে কয়রা উপজেলা সদরে বাংলাদেশ ডাক অধিদফতরের স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্ট অব পোস্ট অফিস উদ্বোধন করেন ক্রাউন প্রিন্সেস। উদ্বোধনী কার্যক্রম শেষে তিনি চট্টগ্রামের উদ্দেশে হেলিকপ্টারযোগে কয়রা ত্যাগ করেন। এ সময় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক তার সঙ্গে ছিলেন।

এর আগে সকালে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) মো. ফিরোজ শাহ, বাংলাদেশ পুলিশের খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট) জয়দেব চৌধুরী, জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান কয়রা উপজেলার মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের গিলাবাড়ি ইউনাইটেড একাডেমি মাঠে অস্থায়ী হেলিপ্যাডে ক্রাউন প্রিন্সেসকে স্বাগত জানান।