বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা
অংশীজন শুনানিতে বক্তারা

নির্মল বায়ু থেকে বঞ্চিত ঢাকার বাসিন্দারা

নিজস্ব প্রতিবেদক

ভয়াবহ বায়ুদূষণের কবলে ঢাকা। নির্মল বায়ু মানুষের সংবিধানস্বীকৃত অধিকার, কিন্তু ঢাকা শহরের অধিবাসীরা এ অধিকার থেকে বঞ্চিত। দূষিত বায়ু সেবনের কারণে মানুষের গড় আয়ু কমছে। নানা রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে। জৈব জ্বালানির ব্যবহার, মেয়াদোত্তীর্ণ ও অনুমোদনবিহীন যানবাহন চলাচল, ধুলা নিয়ন্ত্রণ না করে নির্মাণকাজ, যত্রতত্র আবর্জনা ফেলায় বায়ুদূষণ বাড়ছে। দূষণ রোধে প্রয়োজন দীর্ঘ মেয়াদি কার্যকর সমাধান। সবার আগে বায়ুদূষণের উৎসগুলোকে বন্ধ করতে হবে। রোধের জন্য প্রাপ্ত বরাদ্দের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। নির্মল বায়ু আইনটির অতিশিগগিরই চূড়ান্ত প্রণয়ন করতে হবে। গতকাল প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের সেমিনার কক্ষে শিশু ও যুব ফোরামের আয়োজনে বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) এবং ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের যৌথ সহযোগিতায় ‘বায়ুদূষণ কমানোর মাধ্যমে বয়স্ক এবং ছোট শিশুদের জীবন বাঁচানো এবং শ্বাসের জন্য তাজা বাতাস নিশ্চিতকরণ’ শীর্ষক অংশীজন শুনানিতে বক্তারা এসব কথা বলেন। ক্যাপসের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য তানভীর শাকিল জয় এমপি। এ ছাড়া ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পরিবহন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মো. হায়দার আলী (যুগ্ম সচিব), ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাদিয়া ফারজানা, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রাশেদুজ্জামান মজুমদার, পরিবেশ উদ্যোগোর গবেষণা সমন্বয়ক ইঞ্জিনিয়ার মো. নাছির আহম্মেদ পাটোয়ারী, ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিসের নির্বাহী সমন্বয়কারী সোহানুর রহমান, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের ডেপুটি ডিরেক্টর (ফিল্ড প্রোগ্রাম অপারেশন) মঞ্জু মারীয়া পালমা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তানভীর শাকিল জয় বলেন, শুধু পানি ছিটিয়ে বায়ুদূষণ রোধ করা সম্ভব নয়। এটি সাময়িক সমাধান। আমাদের দীর্ঘ মেয়াদি কার্যকরী সমাধানের জন্য কাজ করতে হবে। বায়ুদূষণের উৎসগুলোকে বন্ধ করতে হবে। বর্জ্য পুড়িয়ে যেন বায়ুদূষণ না হয়, সেজন্য বর্জকে সম্পদের পরিণত করতে হবে। জীবাশ্ম জ্বালানিভিত্তিক পরিবহনের ব্যবহার কমাতে হবে। বর্তমান সরকার বিশেষ করে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় পরিবেশ দূষণ রোধে ব্যাপক কাজ করছে। আগামী ৫ বছরের মধ্যে সরকার পরিবেশ দূষণ ও বায়ুদূষণ রোধে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনবে।

সর্বশেষ খবর