মাদারীপুরের কাজীবাড়ির তিন বোন নাসিমা কাজী (৭০), সালমা কাজী (৬০), আসমা কাজী (৫৮) এবং দুই ভাই হুমায়ন কবির কাজী ও খায়রুর আলম কাজী এবং ভাইয়ের স্ত্রী কমল বেগম (৭৫) ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি বেড়ানোর উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন। কিন্তু তাদের আর বাড়ি ফেরা হয়নি। ঘটনাস্থলেই তিন বোন, ভাইয়ের স্ত্রী এবং মাইক্রোবাস চালক আলমগীর হোসেন (৪৫) মারা যান। দুই ভাই গুরুতর আহত হন। মৃত চারজন কালকিনি উপজেলার গোপালপুরের কাজীবাড়ির সদস্য। এ সময় মাইক্রোবাসের সম্মুখভাগ দুমড়ে মুচড়ে যায়। জানা গেছে, গতকাল সকালে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের ডোমরাকান্দিতে বাস-মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে একই পরিবারের চারজনসহ পাঁচজন মারা যান। গুরুতর আহত হন ওই পরিবারের আরও দুই সদস্য। এ ঘটনায় মৃতদের স্বজন ও এলাকাবাসীর মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্বজনরা জানান, ঈদ উপলক্ষে মাইক্রোবাসে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি কালকিনি উপজেলার দক্ষিণ গোপালপুরে আসছিলেন তারা। বরিশাল থেকে ছেড়ে আসা গ্লোবাল পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় মাইক্রোবাসের। মৃতদের ভাতিজা কাজী সোহেল বলেন, ‘আমার চাচা, ফুফুসহ সাতজন ঢাকা থেকে বাড়ি আসছিলেন। পথেই সড়ক দুর্ঘটনায় তিন ফুফু ও চাচি মারা যান। মূলত দ্রুতগতির কারণেই এ ঘটনা ঘটেছে।’ আরেক ভাতিজা কাজী আসাদ বলেন, ‘আমার তিন ফুফু ও চাচি মারা গেছেন গ্লোবাল পরিবহনের কারণে। এরা নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই দ্রুতগতিতে গাড়ি চালাচ্ছিল। এ কারণেই দুর্ঘটনা ঘটেছে। আমরা পরিবহনসংশ্লিষ্টদের বিচার চাই।’ ভাঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের এসআই নোমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা লাশ উদ্ধার করেছেন। মাদারীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, দুর্ঘটনায় পাঁচজন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন আরও দুজন।