শুক্রবার, ২২ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

ওপারে রাতে গোলাগুলি, দিনের বেলা শান্ত

টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জান্তা বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী আরাকান আর্মির চলমান সংঘাত ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। মংডু টাউনশিপের উত্তরের তিনটি গ্রামে বুধবার দিবাগত রাত ২টা থেকে ৪টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টায় অর্ধশতাধিকের শক্তিশালী গ্রেনেড, বোমা ও মর্টার শেল বিস্ফোরণের বিকট শব্দ ভেসে এসেছে।

নাফ নদের ওপারের কোওয়ারবিল, নাকপুরা ও বলিবাজার এলাকায় বিকট বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে টেকনাফ সীমান্তের অন্তত সাত কিলোমিটার।

সীমান্তের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, কোওয়ারবিল, নাকপুরা ও বলিবাজারে থাকা সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) একাধিক সেক্টর এবং সীমান্ত চৌকি দখলের জন্য হামলা চালাচ্ছে দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)। আরাকান আর্মিকে প্রতিহত করতে আর্টিলারি ও মর্টার শেল নিক্ষেপ করছে জান্তা বাহিনী। টেকনাফ পৌরসভা, সাবরাং, শাহপরীরদ্বীপ, হ্নীলা ও হোয়াইক্যং সীমান্তের সাত কিলোমিটারের মধ্যে থাকা লোকজন ভোররাতে ওপারে শক্তিশালী বিস্ফোরণের আওয়াজ শুনতে পেয়েছেন। অন্ধকার রাতে মর্টার শেল বিস্ফোরণের আগুনের লেলিহানের ঝলক এপার থেকে দেখা যায়। টেকনাফ স্থলবন্দরে পণ্য নিয়ে আসা মিয়ানমারের কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, সাত থেকে আট দিন ধরে আরাকান আর্মি মংডু টাউনশিপের দক্ষিণ-পূর্বের শহর রাচিডংয়ে হামলা বাড়িয়েছে এবং গত রবিবার রাতে রাচিডং শহরটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ফেলে। এরপর পাশের বুচিডং ও মংডু শহর দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে। দিনে উভয়পক্ষ চুপচাপ থাকলেও রাতে সরকারি অবস্থানে হামলা চালাচ্ছে আরকান আর্মি। হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বলেন, সাত থেকে আট দিন ধরে দিনে গোলাগুলি সংঘাত বন্ধ আছে, কিন্তু তিন দিন ধরে মধ্যরাতে মংডুর উত্তরে কোওয়ারবিল, নাকপুরা, বলিবাজারসহ কয়েকটি গ্রামে শক্তিশালী বিস্ফোরণের শব্দ ভেসে এসেছে। সম্ভবত সেখানকার সেনাবাহিনী ও বিজিপির ঘাঁটি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে আরাকান আর্মি। স্থানীয় কয়েক জনপ্রতিনিধি বলেন, সারা দিন শান্ত পরিস্থিতি গেলেও রাত ২টার দিকে ওপারে থেমে থেমে মর্টার শেল ও গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটছিল। ভোর ৪টা পর্যন্ত ৫০টির বেশি বিস্ফোরণ শোনা যায়। গতকাল সকাল ১০টা পর্যন্ত ওপারে গোলাগুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ কানে আসেনি। টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নাফ নদ ও সীমান্তে বিজিবির টহল বাড়ানো হয়েছে। রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর