শিরোনাম
শনিবার, ২৩ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা
কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি

স্কুলছাত্র অপহরণের নাটক সাজিয়ে গাড়িচালক ধরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

স্কুলছাত্র ও গাড়িচালককে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করা হয়েছে। অপহরণকারীরা স্কুলছাত্রের পরিবারকে ফোন করে ১ কোটি ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। অপহরণকারীদের কাছে ২০ লাখ টাকা পৌঁঁছে দেওয়ার পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে জানা গেল, এই অপহরণের মূল পরিকল্পনাকারী নিজেদের গাড়িচালক। তিনি নিজে অপহৃত হওয়ার নাটক করেছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদে ওই গাড়িচালকের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এসব তথ্য জানায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। জানা গেছে, গত বুধবার সকালে রাজধানীর ধানমন্ডির মাস্টারমাইন্ড স্কুলে নামিয়ে দেওয়ার জন্য দুই ভাইকে নিয়ে বাসা থেকে বের হন গাড়িচালক মো. কামরুল। বড় ভাইকে স্কুলে নামিয়ে দিয়ে ছোট ভাইকে নিয়ে যান এক বন্ধুর বাসায়। সেখানে গিয়ে সাজান অপহরণের নাটক। সেই বন্ধুকে দিয়ে ফোন করান দুই ভাইয়ের বাবাকে। ছোট ছেলে জামিনুর রহমান ও গাড়িচালক কামরুলকে অপহরণ করা হয়েছে জানিয়ে দাবি করেন ১ কোটি ৫ লাখ টাকা। ভয়ভীতি দেখিয়ে আদায় করে নেন ২০ লাখ টাকাও। পরে জামিনুরকে নিয়ে বাসায় ফেরেন গাড়িচালক কামরুল। বড় ছেলে আমিনুর ও ছোট ছেলে জামিনুর মাস্টারমাইন্ড স্কুলের শিক্ষার্থী। তাদের বাবা ব্যবসায়ী আনিসুর রহমান। আনিসুরের ব্যক্তিগত গাড়িচালক কামরুল। অপহরণের ঘটনায় গত বুধবারই ধানমন্ডি থানায় অভিযোগ দেন ব্যবসায়ী আনিসুরের ভাই হাবিবুর রহমান। পুলিশকে না জানিয়ে স্বজনরা অপহরণকারীদের কাছে ২০ লাখ টাকা পৌঁছে দেওয়ার পর স্কুলছাত্র জামিনুর ও চালক কামরুল বাসায় ফিরে আসেন। এর আগে টাকা না দিলে শিশু ও চালককে হত্যা করা হবে বলে টেলিফোনে পরিবারকে জানানো হয়।

ডিবি পুলিশ বলছে, অপহরণের আদ্যোপান্ত জানার জন্য জামিনুর ও চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করেন পুলিশ কর্মকর্তারা। কিন্তু চালকের কথাবার্তা সন্দেহজনক মনে হলে তাকে নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে তিনি অপহরণের পরিকল্পনা এবং নিজে অপহৃত হওয়ার নাটক সাজানোর কথা স্বীকার করেন। ব্যবসায়ী আনিসুর রহমানের ছেলেকে অপহরণ করতে পারলে একসঙ্গে অনেক টাকা পাওয়া যাবে এই লোভে চালক পরিকল্পনা করেছিলেন বলে স্বীকার করেন।

ডিবির রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, বুধবার বিকালেই অপহরণকারীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বসিলা এলাকা থেকে গাড়িটি উদ্ধার করা হয়েছিল। গাড়িচালক কামরুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কামরুলের গ্রামের বাড়ি ভোলায়। কামরুলের সহযোগীকে গ্রেফতার ও মুক্তিপণ হিসেবে নেওয়া টাকা উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর