রবিবার, ২৪ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা
ভৈরবে নৌকাডুবি

১৯ ঘণ্টা পর দুজনের লাশ উদ্ধার নিখোঁজ ছয়জন

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মেঘনা নদীতে নৌকাডুবির ১৯ ঘণ্টা পর দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল দুপুর ১টার দিকে ফায়ার সার্ভিস ও বিআইডব্লিউটিএর ডুবুরি দল তাদের লাশ উদ্ধার করে। তারা হলেন- নিখোঁজ পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানার স্ত্রী মৌসুমী (২৫) ও ভৈরব পৌরসভার আমলাপাড়া এলাকার টুটন দের মেয়ে আরাধ্যা (১২)। এ নিয়ে মোট তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

ভৈরব ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আজিজুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, শনিবার সকাল ৮টা থেকে ডুবুরি দল অভিযান শুরু করে। দুপুর ১টার দিকে দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া দুর্ঘটনায় তলিয়ে যাওয়া নৌকাটি টেনে তীরে আনা হয়েছে। নিখোঁজদের উদ্ধারে কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস, ভৈরব ফায়ার সার্ভিস, ভৈরব থানা এবং ভৈরব নৌ থানা পুলিশ কাজ করছে।

এখনো নিখোঁজ যাত্রীরা হলেন- ভৈরব হাইওয়ে থানার পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানা (৩৫), তার মেয়ে মাহমুদা (৭) ও ছেলে রাইসুল (৫), ভৈরব পৌর শহরের আমলাপাড়া এলাকার ঝন্টু দের স্ত্রী রুপা দে (৩০) ও ভগ্নিপতি বেলন দে (৩৮), এ ছাড়াও নরসিংদীর রায়পুরা এলাকার কলেজ শিক্ষার্থী আনিকা আক্তার (১৮)।

শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানা ও তার পরিবারের সদস্যসহ ২০ জনের একটি দল ভৈরবে মেঘনা নদীতে ট্রলারে করে ঘুরতে বের হন। সন্ধ্যা ৬টার দিকে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর নিচে বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় যাত্রীবাহী ট্রলারটি ডুবে যায়। খবর পেয়ে ভৈরব ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ১১ জনকে জীবিত এবং সুবর্ণা বেগম (৪০) নামে এক নারীর লাশ উদ্ধার করে। সুবর্ণা ভৈরব পৌরসভার কমলপুর এলাকার বাসিন্দা।  এদিকে শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধার অভিযান স্থগিত করা হয়। রবিবার সকাল ৭টায় আবারও উদ্ধার তৎপরতা শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন ভৈরব ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আজিজুল হক। ফায়ার সার্ভিসের পাঁচজন, বিআইডব্লিউটিএর পাঁচজন ডুবুরিসহ স্থানীয় দুজন উদ্ধার কাজে অংশ নেন।

 

 

সর্বশেষ খবর