রবিবার, ২৪ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

বিএসএমএমইউতে নিয়োগ নিয়ে উত্তেজনা মারধরের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) নিয়োগ নিয়ে উত্তেজনা ও মারধরের ঘটনা ঘটেছে। বিদায়ী উপাচার্যের ব্যক্তিগত সহকারীসহ কয়েকজনকে মারধর করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ তুলে গতকাল বিক্ষোভ করেন আওয়ামী লীগপন্থি স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) সংগঠনের শিক্ষকরা। বিশ্ববিদ্যালয়টির কর্মকর্তা-কার্মচারী ও নার্সরাও এতে অংশ নেন। এক পর্যায়ে শারফুদ্দিনের ব্যক্তিগত সহকারী ডাক্তার রাসেল আহমেদকে চড়-থাপ্পড় দিয়ে উপাচার্যের কক্ষ থেকে বের করে দেওয়া হয়। বিএসএমএমইউর সুপার স্পেশালাইজড শাখা থেকেও একজনকে মারধর করে বের করে দেওয়ার খবর পাওয়া যায়। উপাচার্য শারফুদ্দিন আহমেদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২৮ মার্চ। এরই মধ্যে ১১ মার্চ বিএসএমএমইউর উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক দীন মো. নূরুল হক। মেয়াদ শেষের আগে উপাচার্য শারফুদ্দিনের বিরুদ্ধে ‘শতাধিক’ শিক্ষক কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে। এসব নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তার বিদায়ের মুহূর্তে বিক্ষোভ করছেন স্বাচিপের বিএসএমএমইউ ইউনিটের নেতারা।

সংগঠনটির চিকিৎসকদের অভিযোগ, আগের নিয়োগগুলোতে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। বিদায়ের মুহূর্তে আরও শতাধিক শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারী অ্যাডহকের মাধ্যমে নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। নিয়োগ বাণিজ্যের এ অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার থেকে স্বাচিপের নেতারা বিক্ষোভ করছেন।

আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা স্বাচিপের বিএসএমএমইউ শাখার সদস্যসচিব অধ্যাপক মো. আরিফুল ইসলাম জোয়ার্দার টিটো বলেন, ‘সাধারণত ভিসি নিয়োগ পাওয়ার পর আগের ভিসি শুধু দৈনন্দিন রুটিন কাজ করেন, যা ইতিপূর্বেও হয়েছে। কিন্তু বর্তমান উপাচার্য শতাধিক ডাক্তার, কর্মচারী ও প্রায় ৩০ জন প্রশাসনিক কর্মকর্তা নিয়োগের জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন। সবাই মনে করছে এ নিয়োগের পেছনে অর্থের লেনদেন আছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘যদি সিন্ডিকেট মিটিং করে তাদের নিয়োগ না দিতে পারে, তবে সেই অর্থ ফেরত দিতে হবে। অন্যদিকে স্বাচিপের চিকিৎসক, শিক্ষক, বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এ ধরনের অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ দিতে বাধা দিয়ে আসছে। এখানকার ইট-পাথরও জানে, টাকা-পয়সা ছাড়া এখানে চাকরি হয় না, তিনি বিএসএমএমইউকে একটা ব্যবসা কেন্দ্র বানিয়েছেন।’

এ বিষয়ে উপাচার্য শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, তারা কয়েকজনকে মারধর করেছে, আমি বিষয়টা শুনেছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে কথা বলব। নিয়োগের বিষয়টি আগেই ফয়সালা হয়েছে, এখন সিন্ডিকেট বসার সিদ্ধান্তটাও আগেই নেওয়া হয়েছে। যারা বিরোধিতা করছে তারা কেউ আমার কাছে আসেনি। সবকিছু স্বচ্ছতার ভিত্তিতেই হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

সর্বশেষ খবর