সোমবার, ২৫ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা
ভৈরবে নৌকাডুবি

এখনো নিখোঁজ ৬ মামলা দায়ের

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ট্রলারডুবির ঘটনায় অভিযুক্ত বাল্কহেডের সুকানি ও ইঞ্জিনচালকের বিরুদ্ধে ভৈরব নৌথানায় একটি মামলা হয়েছে। ভৈরব নৌথানার অফিসার ইনচার্জ কে. এম. মনিরুজ্জামান চৌধুরী জানান, অজ্ঞাতনামা সুকানি ও ইঞ্জিনচালকের বিরুদ্ধে মামলাটি করেছেন নিখোঁজ পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানার পিতা আবদুল আলিম।

এদিকে, ট্রলারডুবির ঘটনার তৃতীয় দিনে আরও তিনজনের লাশ ও ডুবে যাওয়া ট্রলারটি উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বিকাল ৩টার দিকে মেঘনা নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় বিআইডব্লিউটিএ, ফায়ার সার্ভিস ও নৌ পুলিশ যৌথভাবে তিনজনের লাশ উদ্ধার করেছে। এর আগে বেলা ১২টার দিকে ডুবে যাওয়া ট্রলারটি উদ্ধার করা হয়। যে তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে তারা হলেন, পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানার মেয়ে মাহমুদা সুলতানা (৭), ভৈরবের আমলাপাড়া এলাকার ঝন্টু দের স্ত্রী রুপা দে (৩০) ও নরসিংদী জেলার বেলাব উপজেলার দড়িকান্দি গ্রামের দারু মিয়ার মেয়ে কলেজ শিক্ষার্থী আনিকা আক্তার (১৮)। স্বজনরা তাদের লাশ শনাক্ত করেন। এ নিয়ে ৬ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন তিনজন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নৌ-পুলিশ কিশোরগঞ্জ অঞ্চলের পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন। তিনি জানান, নৌ দুর্ঘটনার পর থেকেই নদীতে নিখোঁজদের উদ্ধার ও অভিযুক্তি বাল্কহেডটি আটকের চেষ্টা চলছে।

 ঘটনার দিন কয়েকজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রথমদিন উদ্ধার করা আহত একজন মারা যায়। এছাড়াও শনিবার পানির নিচে নৌকাটি শনাক্ত এবং দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। গতকাল দুপুরে আরও তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিখোঁজ আরও তিনজনকে উদ্ধার ও অভিযুক্ত বাল্কহেডটি আটকের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি। এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএর উপ-পরিচালক উবায়েদুল করিম খান জানান, দীর্ঘ চেষ্টার পর ডুবে যাওয়া ট্রলারটি রবিবার বেলা ১২ টার দিকে মেঘনার পাড়ে তোলা হয়েছে। দুর্ঘটনায় নিখোঁজ আরও তিনজনকে উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি। ভৈরব নৌথানার অফিসার ইনচার্জ কে. এম. মনিরুজ্জামান চৌধুরী জানান, মামলার আসামিদের গ্রেফতারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, শুক্রবার সন্ধ্যায় ভৈরবের মেঘনা নদীতে প্রায় ২০ জন যাত্রী নিয়ে সুন্দরবন নামে পর্যটকবাহী একটি ট্রলার বালুবাহী বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ডুবে যায়।

সর্বশেষ খবর