সোমবার, ২৫ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

বিপুল ভিওআইপি সরঞ্জামসহ দুজন গ্রেফতার

টঙ্গি প্রতিনিধি

টঙ্গীতে বিপুল পরিমাণ অবৈধ ভিওআইপি সরঞ্জামসহ দুজনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। শনিবার রাতে র‌্যাব-১-এর একটি দল টঙ্গীর মধুমিতা এলাকায় একটি বহুতল ভবনে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। গতকাল সকাল ১১টার দিকে ওই ভবনের নিচতলায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল-মঈন। গ্রেফতাররা হলেন তাজুল ইসলাম (৪০) ও হারুন (৪০)।

এ ঘটনায় গতকাল সকাল ১০টায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক ওই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন। পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সরকার একটি নিয়মতান্ত্রিক টেলিকমিউনিকেশন পদ্ধতি চালু করতে চায়। টেলিকমিউনিকেশন খাতে যত অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলা এবং বিশৃঙ্খলাকারী আছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চাই। বাংলাদেশের রাজস্ব বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অবৈধ ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রটোকল কল বন্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করছে। প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ওইসব অপরাধীদের একটি কঠোর বার্তা দিতে চাই। সেই সঙ্গে মোবাইল সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর নিবন্ধিত ডিস্ট্রিবিউটর ও রিটেইলারদের অবহেলার কারণে অপরাধীরা যেন কোনো সুযোগ তৈরি করতে না পারে সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। অপরাধীরা দেশের যে কোনো কৌশলেই অপরাধ কর্মকান্ড পরিচালনা করতে চেষ্টা করুক না কেন, আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত রাখবে। পরে র‌্যাবের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে কমান্ডার খন্দকার আল-মঈন জানায়, গত শনিবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-১-এর একটি দল জানতে পারে, টঙ্গীর মধুমিতা এলাকার ‘অগ্রণী টাওয়ার’ নামে একটি বহুতল ভবনের ১২ তলায় নিজেদের কেনা ফ্ল্যাটে অবৈধ ভিওআইপি সরঞ্জাম রয়েছে। পরে ওই ভবনে অভিযান চালিয়ে তিনটি ফ্ল্যাটে রাখা ৩২টি সিম, বক্স ডিভাইস, কয়েকটি মোবাইল ফোন, বিভিন্ন অপারেটরের প্রায় ১১ হাজার সিম কার্ডসহ তাদের গ্রেফতার করে র‌্যাব। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব অভিযানে নামলেও অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত অন্যদের গ্রেফতার করতে পারেনি। 

র‌্যাব আরও জানায়, বিটিআরসি কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্যমতে অবৈধ টেলিযোগাযোগ স্থাপনার মাধ্যমে চক্রটি প্রতিদিন আনুমানিক প্রায় এক লাখ আন্তর্জাতিক কল মিনিট অবৈধভাবে দেশে টার্মিনেট করছিল। এর ফলে সরকার কয়েক লাখ টাকা রাজস্ব হারিয়েছে। তারা এক বছর ধরে সরকারকে কর ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে ভিওআইপির ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, র‌্যাবের উপমহাপরিচালক কর্নেল মাহবুব ও র‌্যাব-১-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মোস্তাক আহম্মেদ।

সর্বশেষ খবর