মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

বেঁচে রইল না কেউই

লাশ উদ্ধার ৯ জনেরই

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

বেঁচে রইল না কেউই

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ট্রলারডুবির ঘটনায় আরও তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সকালে ঘটনাস্থল থেকে কিছু দূরে পৃথক স্থান থেকে ভাসমান অবস্থায় তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। তারা হলেন ভৈরব হাইওয়ে থানার পুলিশের কনস্টেবল সোহেল রানা (৩৫), তার ছেলে রাইসুল (৫) ও কটিয়াদী উপজেলার মানিকখালী গ্রামের বেলন দে (৪৫)। এ নিয়ে মোট নয়জনের লাশ উদ্ধার হয়েছে। ভৈরব ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আজিজুল হক রাজন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ দুর্ঘটনায় নিখোঁজ সবার লাশ উদ্ধার করে অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এর আগে রবিবার বিকাল ৩টার দিকে মেঘনা নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় বিআইডব্লিউটিএ, ফায়ার সার্ভিস ও নৌপুলিশ যৌথভাবে তিনজনের লাশ উদ্ধার করে। তারা হলেন- পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানার মেয়ে মাহমুদা সুলতানা (৭), ভৈরবের আমলাপাড়ার ঝন্টু দের স্ত্রী রুপা দে (৩০) ও নরসিংদীর বেলাব উপজেলার দড়িকান্দি গ্রামের দারু মিয়ার মেয়ে কলেজছাত্রী আনিকা আক্তার (১৮)। একই দিন দুপুর ১২টার দিকে ডুবে যাওয়া ট্রলারটি উদ্ধার করা হয়। এর আগে শুক্রবার ঘটনার দিন একজনের এবং পরদিন দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তারা হলেন ভৈরব পৌরসভার কমলপুরের সুবর্ণা বেগম (৩৫), পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানার স্ত্রী মৌসুমী (২৫) ও ভৈরবের আমলাপাড়ার মিষ্টি ব্যবসায়ী চন্দন দের মেয়ে আরাধ্যা দে (১২)। গতকাল সন্ধ্যায় তাদেরকে জানাজা শেষে দাফন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, শুক্রবার সন্ধ্যায় ভৈরবের মেঘনা নদীতে প্রায় ২০ জন যাত্রী নিয়ে পর্যটকবাহী ট্রলার সুন্দরবন বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় ডুবে যায়।

এ ব্যাপারে পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানার বাবা আবদুল আলিম বাদী হয়ে অভিযুক্ত বাল্কহেডের অজ্ঞাতনামা সুকানি ও ইঞ্জিন চালকের বিরুদ্ধে ভৈরব নৌ থানায় মামলা করেছেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর