মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

শ্রমিক ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সংঘর্ষ মোংলায়

বাগেরহাট প্রতিনিধি

শ্রমিক ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সংঘর্ষ মোংলায়

বাগেরহাটের মোংলায় ইপিজেডে মেসার্স ভিআইপি লাগেজ ইন্ডাস্ট্রি কর্তৃপক্ষের ১ হাজার ৭০০ শ্রমিক ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও ভাঙচুর করেছে শ্রমিকরা। গতকাল দুপুরে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের সঙ্গে বেপজার নিরাপত্তারক্ষী ও পুলিশের সংঘর্ষ ঘটে। রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে আড়াই ঘণ্টা পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে শ্রমিক, পুলিশ, প্রতিদিনের সংবাদ-এর মোংলা প্রতিনিধি আলী আজমসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানায়, লোকসানের অজুহাতে মোংলা ইপিজেডে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান মেসার্স ভিআইপি লাগেজ ইন্ডাস্ট্রির ১ হাজার ৭০০ শ্রমিক ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে গতকাল সকালে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা ইপিজেডের মূল ফটকের সামনে বিক্ষোভ করে। চাকরির বয়স মাত্র ১০ মাস হলেও কোনো নিয়মনীতি না মেনে ভিআইপি লাগেজ কর্তৃপক্ষ ঈদের আগে তাদের ছাঁটাই করেছে। মাত্র এক মাসের বেতন-বোনাস দিয়ে গতকাল সকালে কর্তৃপক্ষ ছাঁটাইকৃত শ্রমিকদের জোর করে কারখানা থেকে বের করে দেয়। ছাঁটাই প্রত্যাহারসহ বেসিক বেতনের তিন মাসের সমান বোনাস দাবিতে সকালে শ্রমিকরা আন্দোলন শুরু করে।

শ্রমিকরা বলেছে, ছাঁটাইয়ের কারণ জানতে গেলে বেপজার নিরাপত্তারক্ষী ও পুলিশ দিয়ে মেরে আহত করা হয়েছে। সুবর্ণা ও তানিয়া নামে দুই শ্রমিক বলেন, ‘বেতন আমরা পাইনি। আবার কাজ থেকেও বাদ দিয়ে দিছে। এজন্য আমরা আন্দোলন করছি। কিন্তু আমাগো ওপর হামলা করছে। আমাগো ওপরই বেশি হিংস্র হয়ে হামলা করছে। ৩০ জনের বেশি শ্রমিক আহত হইছে। আরও কে কোথায় গেছে, তা কইতে পারি না।’ শ্রমিক বায়েজিদ বলেন, ‘আট মাস ধরে এ কোম্পানিতে আছি। কোনো নোটিস ছাড়াই হঠাৎ বের করে দিয়েছে। কী করব এখন? সামনে ঈদ। ঈদের আগে আমাদের বের করে দিয়েছে। এখন কোথায় যাব, কী করব, না খেয়ে মরতে হবে আমাদের।’ তবে প্রতিষ্ঠানটি বলছে, তারা নিয়ম অনুযায়ী শ্রমিকদের এক মাসের বেতন, ভাতা ও বোনাস দিয়েছে। তবে শ্রমিকরা বলছে, কোনো টাকা পায়নি। বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রাসেলুর রহমান জানান, আন্দোলনরত শ্রমিকদের শান্ত করার চেষ্টা করলে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা বেপজার নিরাপত্তারক্ষী এবং পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও কারখানা ভাঙচুর শুরু করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। এ সময় শ্রমিক, পুলিশ, সাংবাদিকসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। কয়েক দফা চেষ্টার পর বিকাল ৩টার দিকে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আসে।

সর্বশেষ খবর