এবার দেশাত্মবোধক গানে জীবন্ত পুতুলের আদলে নাচ করল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভাইরাল হওয়া সেই স্কুলের শিশু শিক্ষার্থীরা। গতকাল সকাল ১০টায় স্বাধীনতা দিবসে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তারা এ নান্দনিক নাচ পরিবেশন করে। শহরের নিয়াজ মোহাম্মদ স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসনের আয়োজিত ডিসপ্লে প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। এতে সূর্যমুখী কিন্ডারগার্টেন ও গার্লস স্কুলের ৪৯ শিশু নৃত্যশিল্পী প্রায় ৪ মিনিট জীবন্ত পুতুলের আদলে মনোমুগ্ধকর নাচ প্রদর্শন করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হারিয়ে যাওয়া পুতুল নাচের ঐতিহ্যকে নবরূপে নতুন প্রজন্মের কাছে আবারও তুলে ধরায় জীবন্ত পুতুলনাচটি সবার প্রশংসায় ভাসে। প্রায় বিলুপ্ত এ লোকসংস্কৃতিকে দেশাত্মবোধক গানের মাধ্যমে নতুন করে ফুটিয়ে তোলায় খুশি অংশ নেওয়া শিশু নৃত্যশিল্পীরাও।
তারা জানায়, মাত্র তিন দিনের প্রস্তুতি নিয়ে নাচটি কোরিওগ্রাফ করেন সূর্যমুখী কিন্ডারগার্টেন ও গার্লস স্কুলের সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ আল সাইফুল আমিন জিয়া। তাদের প্রত্যাশা এ নাচটিও আগের বারের মতো সবার হৃদয় জয় করবে, পাশাপাশি নতুন প্রজন্মও জানবে নিজস্ব সংস্কৃতি সম্পর্কে।
![](/assets/archive/images/Print-Edition/2024/03.%20March%20-%202024/27-03-2024/BD-Pratidin_2024-03-27-24-.jpg)
নাচের পরিকল্পনাকারী ও প্রশিক্ষক জিয়া আমিন জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুতুল নাচের ঐতিহ্য ফেরাতে এ প্রচেষ্টা। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন সুলতানা বলেন, পুতুল নাচ আমাদের ঐতিহ্য। আমরা চাই শিশুরা ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে থাকুক। এ ধরনের আয়োজনকে সমৃদ্ধ করতে আমাদের সহযোগিতা থাকবে।
এদিকে ডিসপ্লে প্রদর্শনীতে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে এ নাচটি। স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ রুহুল আমীন বলেন, শিশুরা পুতুল নাচের ডিসপ্লে বেশ চমৎকারভাবে উপস্থাপন করেছে। জেলা প্রশাসন তাদের পাশে থাকবে। পরে শিক্ষার্থীসহ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান।