বুধবার, ২৭ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা
বিএসএফের গুলি

লালমনিরহাট-নওগাঁ সীমান্তে দুই বাংলাদেশি নিহত

লালমনিরহাট ও নওগাঁ প্রতিনিধি

ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে এক দিনে দুই বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। গতকাল ভোরের দিকে লালমনিরহাট ও নওগাঁ সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে। নিহতদের লাশ বিএসএফ নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

লালমনিরহাট : আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের দীঘলটারী সীমান্তের ৯২৩ নম্বর সীমান্ত পিলারের কাছে বিএসএফের গুলিতে লিটন মিয়া (১৮) নামে এক বাংলাদেশি কিশোর নিহত বা আহত হয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। কারণ গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর বিএসএফ কিশোরকে তুলে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে লিটনের মা-বাবা বলেছেন, বিএসএফ তাদের সন্তানকে গুলি করে হত্যা করেছে এবং লাশ নিয়ে গেছে। অন্যদিকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) জানিয়েছে, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বিএসএফ লিটনকে ভারতের অভ্যন্তরে নিয়ে গেছে এবং তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। লিটন মিয়া দুর্গাপুর ইউনিয়নের দীঘলটারী গ্রামের মোকছেদুল ইসলামের ছেলে।

মোকছেদুল ইসলাম বলেন, ‘ভারতের কোচবিহার জেলার দিনহাটা থানা কৈমারী ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা আমার ছেলেকে গুলি করেছে। আমার ছেলেটা গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা গেছে। বিএসএফ সদস্যরা ওর লাশ ভারতে নিয়ে গেছে।’ লিটনের মা দুলালী বেগম বলেন, ‘আমার ছেলেকে বিএসএফ সদস্যরা গুলি করে মেরে ফেলেছে। আমার ছেলের লাশ পড়ে ছিল। তখন বিএসএফ এসে লাশ ভারতে নিয়ে যায়।’ এ ব্যাপারে দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নবীকুল ইসলাম বলেন, বিএসএফের গুলিতে লিটন নামের এক কিশোর মারা গেছে- এটা আমরা নিশ্চিত হতে পেরেছি। আমরা বিজিবিকে অনুরোধ করছি যাতে লিটনের লাশ দ্রুত আমাদের ফেরত আনার ব্যবস্থা করা হয়।

লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের দীঘলটারী ক্যাম্প কমান্ডার নায়েক সুবেদার সাঈদুর রহমান বলেন, লিটন মিয়া বিএসএফের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছে। বিএসএফ সদস্যরা তাকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে ভারতে নিয়ে চিকিৎসা দিচ্ছে। এ বিষয়ে বিএসএফের সঙ্গে কথা হয়েছে। এ ব্যাপারে বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠকের প্রস্তুতি চলছে।

নওগাঁ : নওগাঁর পোরশার নীতপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে আল আমিন (৩০) নামে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। গতকাল ভোরে উপজেলার নিতপুর সীমান্ত চৌকির বিওপির কাছে এ ঘটনাটি ঘটে। নিহত আল আমিন উপজেলার নিতপুর ইউনিয়নের নিতপুর কলোনীপাড়া গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে। এ বিষয়ে বিজিবি ও বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের জন্য বিএসএফকে আহ্বান জানিয়ে পত্র পাঠানো হয়েছে।

নিতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনামুল হক বলেন, আল আমিন সীমান্ত থেকে গরু আনার কাজ করতেন। এ কাজের সময়ই বিএসএফ সদস্যরা গুলি চালায়। তখন ঘটনাস্থলেই আল আমিন মারা যান। লাশ বিএসএফের হাতে রয়েছে।

নওগাঁ-১৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মুহম্মদ সাদিকুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে বিজিবি ও বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের জন্য বিএসএফকে আহ্বান জানিয়ে পত্র পাঠানো হয়েছে।

সর্বশেষ খবর