ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন বলেছেন, দেশে অনেক ভালো চিকিৎসক আছেন, অবকাঠামোও তৈরি হয়েছে। কিন্তু স্বাস্থ্যব্যবস্থায় সন্তোষজনক সিস্টেম গড়ে ওঠেনি। দেশে এখন পর্যন্ত রেফারেল সিস্টেম তৈরি হয়নি। ছোটখাট সমস্যা হলেও রোগীদের ভিড় বাড়ে বিশেষায়িত হাসপাতালে। ঢাবি সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের এই পরিচালক গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রথমে জেনারেল ফিজিশিয়ানের কাছে যেতে হয়। এরপর ওই চিকিৎসক প্রয়োজন বোধ করলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে রেফার্ড করেন। এভাবে ধাপে ধাপে রোগীকে সেবা দেওয়া হয়। কিন্তু আমাদের দেশে সব জেলা-উপজেলা থেকে রোগী এসে ভিড় করেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে। এতে চিকিৎসা নিতে এসে রোগী ও তার স্বজনদের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছায়। শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন আরও বলেন, অনেক অসাধু চিকিৎসক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পারস্পরিক যোগসাজশে সিন্ডিকেট চালু আছে। অপ্রয়োজনে টেস্ট দিয়ে রোগীর পকেট কেটে চলে কমিশন বাণিজ্য। রোগী বা স্বজনরা চিকিৎসায় ভুল কিংবা অবহেলার অভিযোগ নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হলে, অভিযোগ প্রমাণিত হলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু সে সিস্টেম আমরা গড়ে তুলতে পারিনি। অনেক চিকিৎসক সেবার মানসিকতা নয় বরং ব্যবসায়িক মনোভাব পোষণ করেন। বিকাল ৫টায় বসে ৫০-১৫০ জন রোগী দেখেন। এর ফলে ভুলের সংখ্যাও বাড়ে। জবাবদিহিতা না থাকায় এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। প্রতি বছর রেকর্ডসংখ্যক রোগী দেশের বাইরে চিকিৎসা নিতে যাচ্ছে। স্বাস্থ্য খাতের এই বিশৃঙ্খলায় আস্থাহীনতা দেখা দিচ্ছে, রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।