শিরোনাম
সোমবার, ১ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা

রংপুরে জনপ্রিয়তা বেশি দেশি কাপড়ের পোশাকে

জমে উঠেছে ঈদ বাজার

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

রংপুরে জনপ্রিয়তা বেশি দেশি কাপড়ের পোশাকে

ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে কেনাকাটা। রংপুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সমাগমে মুখর ঈদবাজার। মেগামল, মার্কেট, ফুটপাতসহ সব স্থানেই ব্যাপক ভিড়। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর ক্রেতা-বিক্রেতারা কেনাকাটা করছেন গাদাগাদি করে। 

উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত থেকে শুরু করে খেটে খাওয়া মানুষ যার যার সাধ্যমতো কেনাকাটা করছেন। ফলে জমজমাট বিকিকিনি চলছে বিপণিবিতানগুলোতে। পাশাপাশি ফুটপাতের দোকানেও খেটে খাওয়া বিভিন্ন পেশার মানুষের ভিড়। এর মধ্যে মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষের ভিড় শহরের সালেক মার্কেট, স্টেশন মার্কেট, জামাল মার্কেট ও হনুমানতলার মার্কেটে। জেলা পরিষদ সুপার মার্কেট, জাহাজ কোম্পানি শপিং কমপ্লেক্স, গোল্ডেন টাওয়ার বিপণিবিতান, রজনীগন্ধা, শাহ আমানত, কারুপণ্য, সিটি প্লাজা, মতিপ্লাজাসহ বড় বড় বিপণিবিতানগুলোতে উচ্চ আয়ের মানুষ কেনাকাটার জন্য ভিড় করছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন মেগামলে ক্রেতার ভিড় ছিল সবচেয়ে বেশি। এবার বেশি চাহিদা দেশি কাপড়ের তৈরি পোশাকে। বিপণিবিতান ও মেগামলে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত  কেনাকাটায় ব্যস্ত মানুষ। যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী নতুন পোশাক কিনছেন। বড় বড় বিপণিবিতানে বাছাই করা কাপড় শো-রুমে শোভা পাচ্ছে। সামর্থ্যবানরা সব চেয়ে সুন্দর ডিজাইনের জামা-কাপড় কেনার চেষ্টা করছেন তাদের প্রিয় জনের জন্য। আবদুল হাফিজ ও আবদুল কাদের নামে দুই ক্রেতা জানান, অভিজাত মার্কেটগুলোতে পণ্যের দাম কিছুটা বেশি। প্যান্ট, শার্ট, থ্রি-পিস, শাড়ি ও তৈরি পোশাকসহ সব পণ্যের দাম গতবারের তুলনায় ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা বেশি।

শহরের কমদামি মার্কেট হিসেবে পরিচিত হনুমানতলা বাজারে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। জেলা পরিষদ সুপার মার্কেটের বিভিন্ন দোকানে পাকিস্তানি ও ভারতীয় থ্রি-পিস বিক্রি হচ্ছে। ভারত থেকে আসা রাখি খ্রি-পিসের চাহিদা রয়েছে। জাহাজ কোম্পানি শপিং কমপ্লেক্সের ব্যবসায়ী আবেদ হোসেন বলেন, ঈদ উপলক্ষে এ মার্কেটে শুধু রংপুরের মানুষ নয় দিনাজপুর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, বগুড়া, গাইবান্ধার ফ্যাশন সচেতন মানুষ ভিড় করছেন। সবার চাহিদা দেশি কাপড়ের দিকে। ব্যবসায়ী আলী হোসেন ও আফজাল মিয়া জানান, এখন রেডিমেট পোশাক সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে। বিশেষ করে শিশুদের পোশাক। এ ছাড়া থ্রি-পিস ৩০০ থেকে ১০ হাজার টাকা, শাড়ি ২৫০ থেকে ২৫ হাজার টাকা, প্যান্ট পিস ৪০০ থেকে আড়াই হাজার টাকা, শার্ট পিস ২০০ থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। মেট্রোপলিটন চেম্বারের সভাপতি রেজাউল ইসলাম মিলন জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ক্রেতা বেশি। তাই এবার ব্যবসায়ীদের দম ফেলার ফুরসত নেই।

সর্বশেষ খবর