সোমবার, ১ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

ঈদের ছুটি এক দিন বাড়ানোর সুপারিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন ঈদুল ফিতরে সরকারি ছুটি এক দিন বাড়ানোর সুপারিশ করেছে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। আগামী ৮ ও ৯ এপ্রিল অফিস খোলা রয়েছে। সেখানে ৯ এপ্রিল ছুটি দেওয়ার সুপারিশ করেছে কমিটি। আজ মন্ত্রিসভায় বৈঠকে সুপারিশটি উত্থাপন হবে। মন্ত্রিসভার অনুমোদন পেলে ৯ এপ্রিল সরকারি ছুটি থাকবে।

গতকাল সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি আগামী ৯ এপ্রিল (মঙ্গলবার) ছুটি ঘোষণার সুপারিশ করেছে বলে জানিয়েছেন কমিটির সভাপতি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। সভায় কমিটির সদস্য আইনমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, জনপ্রশাসনমন্ত্রী, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রীসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ৯ এপ্রিল ছুটির আওতায় আনা যায় কিনা, সেটার একটা সুপারিশ মন্ত্রিপরিষদে যাবে। সোমবার (আজ) মন্ত্রিসভার মিটিং আছে, সেই মিটিংয়ে এ কমিটির একটা সুপারিশ যাচ্ছে। ছুটির ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ৯ তারিখ অফিস খোলা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এ জন্য আমরা (৯ এপ্রিল বন্ধ রেখে) আগের শনিবার (৬ এপ্রিল) অফিস করতে পারি কি না সেই বিষয়ে সুপারিশ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, যদি ১১ এপ্রিল ঈদ হয়, যাওয়ার জন্য একদিন মাত্র সময় পাবে। সে সেজন্য যানজটটা বাড়তে পারে, এতে মানুষের দুর্ভোগ বাড়বে। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১০ বা ১১ এপ্রিল দেশে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। তবে সরকার রমজান ৩০ দিন ও ঈদুল ফিতর ১১ এপ্রিল হবে ধরে আগামী ১০, ১১ ও ১২ এপ্রিল ঈদের ছুটি নির্ধারণ করে রেখেছে। বৈঠকে অন্যান্য আলোচনা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, অতীতের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, ফিটনেসবিহীন গাড়ি ঈদের সময় চলাচল করে। এসব গাড়ি রাস্তায় গিয়ে বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। যাত্রীদের অনেক ভোগান্তি হয়। সেজন্য ফিটনেসবিহীন এ সব গাড়ি যাতে চলাচল করতে না পারে সেজন্য আগে থেকেই সতর্ক করা হবে। মিল-কলকারখানার শ্রমিকদের ছুটির পর একযোগে এসব গাড়ি ভাড়া করার তথ্য পাওয়া গেছে। মন্ত্রী বলেন, শ্রমিকদের বেতন যাতে সময়মতো পরিশোধ করা হয় সে জন্য প্রয়োজনে ব্যাংক বেশিক্ষণ খোলা রেখে, বন্ধের দিনও খোলা রাখার সুবিধা দিতে পারে, যাতে শ্রমিকদের মধ্যে কোনো অসন্তোষ না হয়। শ্রমিকদের যে প্রাপ্য সেগুলো যাতে সময়মতো পরিশোধ হয় সেজন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মালিকদের সঙ্গে মিটিং করে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবেন। নিত্যপণ্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির সুযোগ নিয়ে যেন কিছুই করতে না পারে, এ জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সজাগ থাকতে বলা হয়েছে। নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে। কৃত্রিম সংকট যেন না হয়, মজুতদাররা যেন সুযোগ নিতে না পারে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে মনিটর করতে বলা হয়েছে সভায়।

সর্বশেষ খবর