ঢাকার ধামরাইয়ে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে একই পরিবারের চারজন দগ্ধ হওয়ার পাঁচ দিন পর গতকাল স্বামী স্ত্রী ও একমাত্র কলেজপডুয়া ছেলে মারা গেছেন। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় গতকাল ভোররাত থেকে বিকালের মধ্যে তারা মারা যান। তাদের একমাত্র মেয়ে নিশরাত জাহান সাথী সংকটাপন্ন অবস্থায় ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন। দগ্ধ স্বামী স্ত্রী ও ছেলের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। তাদের এক নজর দেখতে আত্মীয়স্বজন ও এলাকাবাসী ওই বাড়িতে ভিড় করছেন।

জানা গেছে, গত বুধবার রাত ৩টার দিকে রান্নাঘরে যান সুফিয়া  বেগম। গ্যাসের চুলা জ্বালানোর সঙ্গে সঙ্গে জমে থাকা গ্যাস  থেকে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে সুফিয়া বেগম (৫৫), স্বামী অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম নান্নু মিয়া (৬২), মেয়ে গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের এমবিবিএসের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নিশরাত জাহান সাথী (২৩) ও ছেলে এইচএসসি পরীক্ষার্থী আল হাদী সোহাগ (১৯) দগ্ধ হন। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে প্রথমে ধামরাই ৫০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। নুরুল ইসলাম নান্নু মিয়া ছেলে মেয়েদেও লেখাপড়ার সুবিধার জন্য ধামরাই  পৌরসভার মোকামটোলা এলাকার একটি চারতলা ভবনের নিচতলায় ভাড়া থাকতেন। তার গ্রামের বাড়ি ধামরাইয়ের বাইশাকান্দা ইউনিয়নের বাঘাইর গ্রামে। সুফিয়া বেগমের ভাই আজিজুল হক সাংবাদিকদের জানান, পরিবারটি অত্যন্ত সুখী পরিবার ছিল। আমার বোন, বোনের জামাই ও ভাগনেকে হারিয়ে আমরা বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছি।