রাজধানীতে প্রায় ১০০ কোটি টাকার সরকারি জমি দখলের অভিযোগে আশিয়ান ল্যান্ডস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নজরুল ইসলাম ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংস্থাটি বলছে, দক্ষিণখান ও উত্তরখান মৌজার ৭ দশমিক ৮৯২৫ একর সরকারি খাস জমিতে অবৈধভাবে বালু ভরাট করে দখল করা হয়। এরপর সেখানে ‘আশিয়ান সিটি’ হাউজিং প্রকল্প করা হয়েছে। এখানে হাউজিং প্লট হিসেবে সাধারণ জনগণের কাছে বিক্রিও করা হয়েছে। গতকাল দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নেয়ামুল আহসান গাজী সংস্থাটির সমন্বিত ঢাকা জেলা কার্যালয়-১ এ মামলাটি করেন।

দুদকের জনসংযোগ দফতর জানায়, মামলায় আশিয়ান সিটি হাউজিং প্রকল্পে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট রাজস্ব সার্কেলের আওতাভুক্ত বরুয়া, দক্ষিণখান ও উত্তরখান মৌজায় ৭ দশমিক ৮৯২৫ একর সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত জমি। এসব জমিতে অবৈধভাবে বালু দিয়ে ভরাটের পর দখল করে প্রতারণার মাধ্যমে সাধারণ জনগণের কাছে প্লট আকারে বিক্রির অভিযোগ আনা হয়েছে। রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়- ‘আশিয়ান সিটি’ আবাসিক প্রকল্পে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট রাজস্ব সার্কেলের আওতাভুক্ত বরুয়া, দক্ষিণখান ও উত্তরখান মৌজার দখল করা সরকারি খাস জমি বরুয়া ৪২টি মৌজায় ২ দশমিক ৭০৬২ একর, দক্ষিণখান মৌজায় ৯৭টি দাগে ৪ দশমিক ৯০০৭ একর এবং উত্তরখান মৌজায় ৪টি দাগে ০ দশমিক ২৮৫৬ একর জমিসহ ৩টি মৌজায় মোট ৭ দশমিক ৮৯২৫ একর সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত জমি বালু দিয়ে ভরাট করে অবৈধভাবে দখল করা হয়। এসব জমির বর্তমান বাজার মূল্য আনুমানিক ১০০ কোটি টাকা। এ ছাড়া বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ায় চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে এবং হাউজিং প্লট হিসেবে সাধারণ জনগণের কাছে বিক্রি করা হয়েছে বলে দুদক প্রমাণ পেয়েছে। এই অবস্থায় আশিয়ান ল্যান্ডস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড মালিক ও এমডি নজরুল ইসলাম ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪২০ ধারায় মামলা করা হয়েছে।