শুরু হয়েছে ট্রেনে অগ্রিম টিকিটের ঘরমুখো মানুষের স্বস্তির ঈদযাত্রা। ট্রেনে ঈদযাত্রার গতকাল ছিল দ্বিতীয় দিন। বুধবার থেকে শুরু হওয়া ট্রেনে ঈদযাত্রায় ভিড় থাকলেও সময়মতো ছেড়ে গেছে ট্রেন। এটা ছিল যাত্রীদের জন্য স্বস্তির। যাত্রীদের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি কোনো শিডিউল বিপর্যয়ের অভিযোগ। তবে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ সামাল দিতে আজ থেকে সারা দেশে ৮ জোড়া বিশেষ ট্রেন চলাচল করবে বলে জানিয়েছেন কমলাপুর রেলস্টেশনের ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার। গতকাল কমলাপুর রেলস্টেশনে ঈদযাত্রার দ্বিতীয় দিনের পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য জানান। মাসুদ সারওয়ার বলেন, এবারের ঈদযাত্রায় সবকিছু নিয়মতান্ত্রিকভাবে চলছে। আশা করি এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে। শেষ মুহূর্তের সরকারি-বেসরকারি ছুটি ও গার্মেন্টস ছুটি হলে যাত্রীর চাপ বেড়ে যাবে, সেদিকে লক্ষ্য রেখে শুক্রবার থেকে সারা দেশে ৮ জোড়া বিশেষ ট্রেন চলাচল করবে। এ সময় তিনি জানান, যাত্রাপথে হঠাৎ রেলের ইঞ্জিনে সমস্যা হলে অতিরিক্ত ইঞ্জিনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। অতিরিক্ত লোকোমোটিভও রয়েছে। আশা করছি ঘরমুখো মানুষকে সুন্দর ঈদযাত্রা উপহার দিতে পারব। তিনি আরও জানান, জনস্রোত সামাল দেওয়ার জন্য আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নোটিস দিয়েছি। এ ছাড়া স্টেশনে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ সামাল দিতে কমলাপুর রেলস্টেশনের গেটে তিন স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা আছে। টিকিটের বাইরে কাউকে আমরা প্ল্যাটফরমে প্রবেশ করতে দেব না।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ৮ জোড়া বিশেষ ট্রেন চলাচলের রুটগুলো হলো- চাঁদপুর ঈদ স্পেশাল (চট্টগ্রাম-চাঁদপুর), চাঁদপুর ঈদ স্পেশাল (চাঁদপুর-চট্টগ্রাম), ময়মনসিংহ ঈদ স্পেশাল (চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম), দেওয়ানগঞ্জ ঈদ স্পেশাল (ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা)। এসব রুটে ৫ এপ্রিল থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত এবং ঈদের পর পাঁচ দিন চালানো হবে। এ ছাড়া কক্সবাজার ঈদ স্পেশাল, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটে ঈদের আগে ৮ ও ৯ এপ্রিল এবং ঈদের পরের দিন থেকে তিন দিন চলাচল করবে।