ভারতে আসন্ন লোকসভা (সংসদের নিম্নকক্ষ) নির্বাচনে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী কেরালা রাজ্যের ওয়েনাড আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার উদ্দেশ্যে বুধবার মনোনয়নপত্র জমা দেন। তিনি বর্তমানেও এ আসনের লোকসভা সদস্য।
মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী, রাহুল গান্ধীর মোট সম্পদের মূল্য ২০ কোটি রুপির বেশি। এর মধ্যে তাঁর স্থাবর সম্পত্তির মোট মূল্য ৯.২৪ কোটি, অস্থাবর সম্পত্তির মোট মূল্য ১১.১৪ কোটি রুপি। স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে ৪.২ লাখ রুপি মূল্যের সোনার গহনা, ১৫.২ লাখ রুপি মূল্যের সোনার বন্ড এবং জাতীয় সঞ্চয় প্রকল্প (এনএসসি), ডাকঘরে এবং বিমা পলিসিতে বিনিয়োগ রয়েছে ৬১.৫২ লাখ রুপি। স্টক মার্কেটে ৪.৩ কোটি রুপি বিনিয়োগ করা রয়েছে, মিউচুয়াল ফান্ড আমানত বাবদ ৩.৮১ কোটি রুপি বিনিয়োগ করা রয়েছে। যেখানে তাঁর অস্থাবর সম্পত্তির মোট মূল্য প্রায় ১১.১৪ কোটি রুপি, এর মধ্যে গুরুগ্রামে ৯.০৩ কোটি রুপি মূল্যের একটি অফিসও রয়েছে তাঁর। এ ছাড়া দিল্লির মেহরাউলি এলাকার সুলতানপুর গ্রামে একটি পৈতৃক জমি রয়েছে। বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরার সঙ্গে যৌথভাবে ওই কৃষিজমি কেনা রয়েছে রাহুলের; যার আনুমানিক মূল্য ২.১০ কোটি রুপি। ৫৩ বছর বয়সী এই কংগ্রেস নেতা আরও জানিয়েছেন, তাঁর কাছে ৫৫ হাজার রুপি নগদ রয়েছে এবং দুটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট মিলিয়ে ২৬.২৫ লাখ রুপি রয়েছে তাঁর। হলফনামা অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরে তাঁর মোট আয় ১ কোটি ২ লাখ ৭৮ হাজার ৬৮০ রুপি। গত পাঁচ বছরে তাঁর আয় ৬ কোটি রুপির বেশি। হলফনামায় রাহুল এও জানিয়েছেন, বাজারে তাঁর কিছু দেনাও রয়েছে, যার পরিমাণ ৪৯.৭ লাখ রুপি। রাহুলের বিরুদ্ধে একাধিক ফৌজদারি মামলাও রয়েছে। অন্তত ১৮টি মামলা করা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে, যার মধ্যে অন্যতম ‘মোদি’ পদবি নিয়ে তাঁর বিতর্কিত মন্তব্য। বুধবার দুপুরে ওয়েনাড জেলা কালেক্টরেট অফিসে গিয়ে নিজের মনোনয়নপত্র জমা দেন রাহুল। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন তাঁর বোন ও কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরাসহ দলের নেতারা। ওয়েনাড আসনে রাহুলের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিআই প্রার্থী অ্যানি রাজা ও বিজেপি প্রার্থী কে. সুরেন্দ্রণ। শেষবার ২০১৯ সালে এ ওয়েনাড আসনে সিপিআই প্রার্থী পিপি সুনিরকে ৪ লাখ ৩১ হাজার ভোটে পরাজিত করে লোকসভায় নির্বাচিত হয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। ২৬ এপ্রিল একটি মাত্র দফায় কেরালার ২০টি লোকসভা আসনে ভোট নেওয়া হবে।
