রবিবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা
বসুন্ধরার পক্ষ থেকে ইফতার

মুসাফিরের মিলনমেলা

নিজস্ব প্রতিবেদক

মুসাফিরের মিলনমেলা

বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পবিত্র রমজান মাসজুড়ে রোজাদারদের জন্য ইফতার সরবরাহ করছে দেশের শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপ। সেই ইফতারে শামিল হচ্ছেন সব শ্রেণিপেশার মানুষ। ইফতারের আগমুহূর্তে বিভিন্ন কাজে ওই এলাকায় যাওয়া হাজারো পথিক-মুসাফির যোগ দিচ্ছেন ইফতারে। আশপাশের এলাকার ব্যবসায়ী, হকার, রিকশাচালক, শিক্ষার্থী, পথচারী থেকে ছিন্নমূল মানুষ পাশাপাশি বসে ইফতার করছেন। এক ছাদের নিচে হাজারো রোজাদারের উপস্থিতিতে মসজিদে তৈরি হচ্ছে উৎসবমুখর পরিবেশ। এদিকে ঈদের কেনাকাটায় প্রতিটা বাজারে বাড়ছে ভিড়। প্রতিদিন বিকাল থেকে গভীর রাত অবধি রাজধানীর প্রতিটা মার্কেট থাকছে জমজমাট। ব্যতিক্রম নয় গুলিস্তান, পল্টন, বায়তুল মোকাররম এলাকাও। সন্ধ্যার আগে এসব এলাকার ক্রেতাবিক্রেতা সবাই ছুটছেন বায়তুল মোকাররমে। হাজারো মানুষ পাশাপাশি বসে ইফতার করছেন। একসঙ্গে মাগরিবের নামাজ আদায় করে আবার ফিরছেন কাজে।

গতকাল সরেজমিন দেখা যায়, ইফতারের সময় যত এগিয়ে আসে, মসজিদে রোজাদারের সংখ্যাও তত বাড়তে থাকে, সেই সঙ্গে বাড়তে থাকে স্বেচ্ছাসেবকদের তৎপরতা। মসজিদের সুবিশাল চত্বরে সারিবদ্ধভাবে বসেছিলেন রোজাদাররা। সামনে সাজিয়ে রাখা হচ্ছিল ইফতার। শেষ মুহূর্তে তড়িঘড়ি করে অনেকে প্রবেশ করেন মসজিদে। তাদের হাতেও তুলে দেওয়া হয় ইফতার। পাশে নারীদের জন্য সংরক্ষিত পৃথক স্থানে পাঠিয়ে দেওয়া হয় ইফতারের প্যাকেট। ইফতারে যোগ দেওয়া অনেকেই বিভিন্ন কাজে ঢাকার বাইরে থেকে এসেছিলেন রাজধানীতে। প্রথম রোজা থেকেই বায়তুল মোকাররমে প্রতিদিন ৩ হাজারের বেশি রোজাদারের জন্য ইফতারের ব্যবস্থা করছেন বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর। গতকাল এ মসজিদে ইফতার করেন ঝালকাঠির মনসুর আলী। তিনি জানান, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে একটা কাজের জন্য বৃহস্পতিবার ঢাকা আসেন। কাজটি না হওয়ায় ঢাকায় থেকে গেছেন। রবিবার সরকারি বন্ধ। কাজ সেরে সোমবার ফিরবেন। গতকাল দুপুরের পর কিছু কেনাকাটা করতে বায়তুল মোকাররম মার্কেটে আসেন। ইফতারের সময় হয়ে যাওয়ায় কয়েকটি রেস্টুরেন্টে গিয়ে বসার জায়গা না পেয়ে প্রবেশ করেন বায়তুল মোকাররমে। তিনি বলেন, মসজিদে ঢুকে দেখলাম এখানে রোজাদারদের জন্য অনেক সুন্দর ব্যবস্থা করে রাখা হয়েছে। অনেক মানুষের সঙ্গে উৎসবমুখর পরিবেশে ইফতার করে অনেক ভালো লাগছে। বসুন্ধরার কল্যাণে আমার মতো অনেক মুসাফির এখানে এসে ভালো ইফতার করতে পারছে। বায়তুল মোকারম এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী হাসান তালুকদার বলেন, বাইরে ইফতার কিনে খেতে অনেক টাকা লাগে। তাই প্রথম রোজা থেকেই মসজিদে ইফতার করি। গত বছরও একইভাবে ইফতার করেছিলাম। বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে রমজানজুড়ে ইফতারের ব্যবস্থা করায় আমাদের মতো গরিব মানুষের অনেক উপকার হয়েছে। বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ বছর তৃতীয়বারের মতো রমজানে বসুন্ধরা গ্রুপের উদ্যোগে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ইফতার বিতরণ করা হচ্ছে। বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটির প্রধান উপদেষ্টা সায়েম সোবহান আনভীরের পক্ষ থেকে প্রতিদিন ৩ হাজারের বেশি রোজাদারকে ইফতার করানো হচ্ছে। এখানে সব শ্রেণির মানুষ ইফতার করতে আসে। ইফতার ঘিরে উৎসবের পরিবেশ তৈরি হয়। জানা গেছে, বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম ছাড়াও রাজধানীর আরও অনেক মসজিদ, মাদরাসা, এতিমখানায় ইফতার বিতরণ করা হচ্ছে। ইফতার বিতরণ করা হচ্ছে কুষ্টিয়া, মানিকগঞ্জ, রংপুর, নারায়ণগঞ্জ, রূপগঞ্জ, কেরাণীগঞ্জসহ আরও অনেক এলাকায়।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর