রবিবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা
ঈদবাজার

শেষ মুহূর্তে কম দামে পাঞ্জাবির খোঁজ

সাইফ ইমন

শেষ মুহূর্তে কম দামে পাঞ্জাবির খোঁজ

রাজধানীতে ঈদের কেনাকাটার শেষ মুহূর্তে সস্তা দরে পাঞ্জাবির খোঁজ করছে নিম্ন আয়ের মানুষ। আর এ ক্ষেত্রে ভরসা ফুটপাতের মার্কেটগুলো। গতকাল রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর ও দক্ষিণ গেটের সামনে ফুটপাতের মার্কেটে দেখা যায় উপচে পড়া ভিড়।

জোহরের নামাজের পরপরই ক্রেতা আসতে থাকেন এখানে। ১০০ থেকে ১ হাজার টাকার মধ্যে এসব দোকানে পাওয়া যাচ্ছে নানা রকম পাঞ্জাবি। সব বয়সের উপযোগী পাঞ্জাবি রয়েছে ফুটপাতের এসব দোকানে। বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে ঈদের পাঞ্জাবি কিনতে এসেছিলেন সোলেমান মিয়া। তিনি মিরপুরের একটি গার্মেন্টের পরিচ্ছন্নতা কর্মী। বলেন, ‘ছুটি নিয়ে কেনাকাটা করতে এসেছি। আমার নিজের জন্য, বাবার এবং ছোট ছেলের জন্য পাঞ্জাবি কিনতে এসেছি এখানে। প্রতিবার এখান থেকেই কেনাকাটা করি। পাঞ্জাবির সঙ্গে মিলিয়ে পাজামা, টুপি সবই পাওয়া যায় এখানে। একটু দেখে বুঝে কম দামে ভালো জিনিসই কিনতে পারা যায়। আমার সামর্থ্যরে প্রয়োজনীয় সামগ্রীর প্রায় সবই রয়েছে এখানে।’ আসরের নামাজের পর থেকে ইফতারের আগে ভিড় আরও বাড়তে থাকে। ক্রেতার ভিড়ে হাঁটাচলাই কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়। মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন ১০ বছর ধরে এখানে ভ্যানে পাঞ্জাবি, পাজামা বিক্রি করেন। তিনি বলেন, ‘এখানে অনেক ভালো পাঞ্জাবি রয়েছে। ১০০ থেকে ১ হাজার টাকার পাঞ্জাবি পাবেন আমার কাছে। পাজামা পাওয়া যাচ্ছে ১৫০ থেকে ৪০০ টাকার মধ্যে।’ গুলিস্তান থেকে এ বাজারে পাঞ্জাবি কিনতে এসেছেন বাসচালক সুজন মিয়া। তিনি বলেন, ‘এখানে আমাদের জন্য সব রকমের কেনাকাটার ব্যবস্থা রয়েছে। আতর, টুপি, জায়নামাজ কিনলাম। দাম তুলনামূলক কম বলে প্রতি বছর আমি এখান থেকেই কেনাকাটা করি। কম দামের হলেও নতুন পাঞ্জাবি পরে প্রতি বছর ঈদের নামাজ আদায় করি।’ ফুটপাতের মার্কেটে অনেকে ঘুরতেও আসেন। না কিনলেও ঘুরে ঘুরে পণ্য দেখেন, দরদাম করেন। দোকানগুলো ঘুরে দেখা গেছে, রকমভেদে পাজামা ২০০ থেকে ৬০০, শার্ট ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকার মধ্যে। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের টি-শার্ট ১৫০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। ছোটদের পাঞ্জাবি থেকে শুরু করে শার্ট, টি-শার্ট, জিন্স প্যান্ট ও জুতা পাওয়া যাচ্ছে এখানে। এসব পণ্য ৫০ থেকে শুরু করে ৫০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। ফুটপাতের জুতার দোকানগুলোয়ও ছিল নানান বয়সী মানুষের ভিড়। নিজেদের পছন্দের জুতা কিনতে তাদের যাচাইবাছাইয়ের শেষ ছিল না। আর বিক্রয়কর্মীরাও ক্রেতার চাহিদা পূরণে ছিলেন সচেষ্ট। বিক্রয়কর্মী শামসুল হক বলেন, ‘রমজানের শুরু থেকেই আমাদের কেনাবেচা ভালো। তবে এখন ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে বিক্রি তত বাড়ছে। সামনে বিক্রি আরও বাড়বে বলে আশা করছি।’

সর্বশেষ খবর