সোমবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা

ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড ঘরবাড়ি

বজ্রপাত ও গাছ চাপায় মৃত্যু ১২, ফসলের ক্ষতি, অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ নেই

প্রতিদিন ডেস্ক

ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড ঘরবাড়ি

ঝালকাঠিতে ঝড়ে গাছ ভেঙে পড়েছে ঘরের ওপর -বাংলাদেশ প্রতিদিন

দেশের বিভিন্ন স্থানে গতকাল ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিধ্বস্ত হয়েছে বহু বাড়িঘর। ভেঙে পড়েছে গাছপালা। বজ্রপাত ও গাছ চাপায় অন্তত ১২ জন মারা গেছেন।

বজ্রপাতেই মারা গেছেন ৯ জন। অনেক এলাকায় ক্ষতি হয়েছে ফসলের। বিচ্ছিন্ন রয়েছে বিদ্যুৎ। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

ভোলা : ভোলায় কালবৈশাখী ঝড় এবং শিলাবৃষ্টিতে মনপুুরা ও লালমোহন এ দুই উপজেলায় ৫ শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এ সময় ঘরচাপা পড়ে হারিস (৪৫) এবং বজ্রপাতে বাচ্চু (৩৫) নিহত হয়েছেন। গতকাল সকাল ১০টার দিকে কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। এ সময় ঝড়ের তান্ডবে মনপুরা উপজেলার হাজিরহাট, উত্তর সাকুচিয়া ও দক্ষিণ সাকুচিয়া এলাকার ৩ শতাধিক ঘরবাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বিধ্বস্ত হয়েছে। অসংখ্য গাছপালা উপড়ে পড়েছে।

অপর দিকে একই সময় লালমোহন উপজেলায় ২ শতাধিক ঘরবাড়ির ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ের সময় লালমোহনে উপজেলায় বদরপুর সাতবাড়িয়া এলাকায় ঘরচাপা পড়ে হারিস (৪৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।

এ ছাড়াও লালমোহনের চরভূতা ইউনিয়নের লেঙ্গুটিয়া গ্রামের বাচ্চু (৪০) নামে একজন বজ্রপাতে নিহত হয়েছেন।

পটুয়াখালী : ঘূর্ণিঝড়ে পটুয়াখালীর বাউফলে দুজন নিহত হয়েছেন। ঝড়ের কবলে পড়ে তেঁতুলিয়া নদীতে নিখোঁজ রয়েছেন আরও দুই জেলে। বজ্রপাতে মারা গেছে অন্তত ১০টি গরু। বিধ্বস্ত হয়েছে অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি।

বাউফল থানার ওসি সোনিত কুমার গাইন জানান, সকাল সাড়ে ১০টায় পুরো এলাকায় রাতের মতো অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যায়। এ সময় কালবৈশাখী শুরু হলে মুষলধারে বৃষ্টি, বজ্রপাতসহ ঝড় হয়। ঝড়ে নজিরপুর ইউনিয়নের জহির শিকদারের কিশোর ছেলে মোহাম্মদ রাতুল শিকদার (১৫) বজ্রপাতে এবং দাসপাড়া ইউনিয়নের চর আলগি এলাকার বৃদ্ধ সাফিয়া বেগম (৮০) গাছচাপা পড়ে মারা যান। তিনি জানান, ঝড়ের কবলে পড়ে তেঁতুলিয়া নদীতে মাছ শিকার অবস্থায় নিখোঁজ রয়েছেন দুই জেলে মান্নান ফরাজীর ছেলে ইব্রাহিম ফরাজী (৪৩) ও মনু রাঢ়ীর ছেলে ইসমাইল রাঢ়ী (৪০)। তারা উভয়ই চন্দ্রদীপ ইউনিয়নের চর ওয়াডেলের বাসিন্দা। তিনি আরও জানান, ঘূর্ণিঝড়ে কেশবপুর ইউনিয়নে ২টি, ধুলিয়ায় ৩টিসহ অন্তত ১০টি গরু মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ জসীম জানান, সদর থানার আউলিয়াপুরে বজ্রপাতে একটি গরু মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

জেলা দুর্যোগ ও ত্রাণ কর্মকর্তা সুনাম দেবনাথ জানান, জেলায় ঝড়ে শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। গাছপালা উপড়ে বিভিন্ন এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। বিকাল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত দুজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

পিরোজপুর : পিরোজপুরে হঠাৎ ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে পিরোজপুর পৌরসভা ও সদর উপজেলার বেশ কয়েকটি  এলাকা। এ সময় পৌর এলাকার শারিকতলা ইউনিয়নের মরিচাল গ্রামে একটি ঘরে গাছচাপা পড়ে রুবী বেগম (২২) নামে এক নারী নিহত হন। ঘটনায় দুজন আহত হয়।

গতকাল সকাল পৌনে ১০টার দিকে হঠাৎ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে অন্ধকার হয়ে পড়ে পিরোজপুর। শুরু হয় দমকা ও ঘূর্ণিবাতাস। প্রায় ১৫ মিনিটের এ ঘূর্ণিঝড়ে পিরোজপুর পৌরসভা ও সদর উপজেলার বেশ কয়েকটি এলাকায় শত শত গাছ উপড়ে পড়ে ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বন্ধ হয়ে যায় সড়ক যোগাযোগ। ঘূর্ণিঝড়ে গাছ উপড়ে পড়ে বিচ্ছিন্ন রয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহ।

পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান জানান, হঠাৎ ঘূর্ণিঝড়ে গাছপালা উপড়ে পড়ে পিরোজপুরের সদর উপজেলা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ সময় একজন নিহত হয়। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি।

ঝালকাঠি : গতকাল ভোর রাতে ঝালকাঠিতে প্রবল বর্ষণের সঙ্গে ব্যাপক বজ্রপাত হয়েছে। ঝড় শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরো জেলা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। বজ্রপাতে জেলায় দুই নারী ও এক শিশু নিহত হয়েছেন। তারা হলেন- মিনারা বেগম (৩৫), হেলেনা বেগম (৪০) ও মাহিয়া আক্তার ঈশানা (১১)। রবিবার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। জেলার কাঁঠালিয়া উপজেলার আওড়াবুনিয়া ইউনিয়নের মুন্সিরাবাদ গ্রামে হেলেনা বেগম বৃষ্টিতে ঘরের বাইরে নামলে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলে নিহত হন। এদিকে ঝালকাঠি সদর উপজেলার  শেখেরহাট ইউনিয়নের মিনারা বেগম নামে এক গৃহিণী ও পোনাবালিয়া ইউনিয়নের ইসালিয়া গ্রামে মাঠে গরু আনতে যাওয়ার সময় মাহিয়া আক্তার ঈশানা নামে এক শিশু নিহত হয়। মাহিয়া আক্তার ঈশানা আফসার মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। ঝালকাঠি পুলিশ সুপার মো. আফরুজুল হক টুটুল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। কাল বৈশাখী ঝড়ে মাঠ থেকে গবাদি পশু আনতে গিয়ে এরা বজ্রপাতে নিহত হয় বলে জানান তিনি।

খুলনা : খুলনার ডুমুরিয়ায় বজ্রপাতে ওবায়দুল্লাহ গাজী (২৫) নামে যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সকালে ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে বজ্রপাতে তিনি মারা যান। ওবায়দুল্লাহ ডুমুরিয়ার গুটুদিয়া ইউনিয়নের কোমলপুর গ্রামের দেলোয়ার হোসেন গাজীর ছেলে।

নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, সকালে ওবায়দুল্লাহ কানাইডাঙ্গা বিলে নিজের মৎস্য ঘেরে ঘাস কাটতে যান। এ সময় বজ্রপাতসহ বৃষ্টি শুরু হলে তিনি ঘেরের বাসায় অবস্থান করেন। বজ্রপাতে বাসার ভিতরেই তার মৃত্যু হয়।

ডুমুরিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুশান্ত কুমার সাহা বজ্রপাতে যুবকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এ সংবাদে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

বাগেরহাট : বাগেরহাটে কালবৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জেলার বিভিন্ন স্থানে কয়েক শত কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। হাজার হাজার গাছপালা উপড়ে ও বিদ্যুতের  খুঁটি ভেঙে পড়ে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে জেলা সদরসহ ৯টি উপজেলায় বন্ধ রয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহ। কালবৈশাখী ঝড় চলাকালে জেলার কচুয়ার চর সোনাকুড় গ্রামে বজ্রপাতে লিকসান সরদার (৩২) নামে মাদরাসার দফতরি নিহত হয়েছেন। জেলা কেন্দ্রীয় বাস-টার্মিনালে একটি সাইনবোর্ডের টাওয়ার ভেঙে দাঁড়িয়ে থাকা একটি যাত্রীবাহীবাসের ওপর পড়ে এক বাস শ্রমিকসহ বিভিন্ন স্থানে ১৫ জন আহত হয়েছেন। কালবৈশাখী ঝড়ে সব থেকে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বাগেরহাট সদর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামসহ পৌর এলাকা। এদিকে কালবৈশাখী ঝড় শুরুতে জেলাজুড়ে দিনের বেলায়  নেমে আসে রাত। আকাশ মেঘে আচ্ছন্ন হয়ে বজ্রবৃষ্টি হলেও দিনের বেলায় এমন অন্ধকার আগে দেখেনি কেউ। প্রায় ২০ মিনিট অন্ধকারে ঢাকা থাকায় বন্ধ হয়ে যায় মানুষের  দৈনন্দিন কাজকর্ম। বাগেরহাট জেলা শহরসহ ৯ উপজেলার সবখানেই এমন অস্বাভাবিক দৃশ্য চোখে পড়ে সবার। এরপর বজ্রপাতের সঙ্গে অবিরাম বৃষ্টিপাত শুরু হলে আকাশ পরিচ্ছন্ন হয়।

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খালিদ হোসেন জানান, কালবৈশাখী ঝড় চলাকালে গ্রামের মাঠে গরু আনতে গিয়ে চর সোনাকুড় আলিম মাদরাসার দফতরি লিকসান সরদার বজ্রপাতে নিহত হয়েছেন। গাছপালা উপড়ে ও বিদ্যুতের  খুঁটি ভেঙে পড়ে রবিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে জেলা সদরসহ ৯টি উপজেলায় বন্ধ রয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহ। জেলায় বিধ্বস্ত হয়েছে কয়েক শত কাঁচা ঘরবাড়ি। কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে একটি সাইনবোর্ডের টাওয়ার ভেঙে দাঁড়িয়ে থাকা একটি যাত্রীবাহীবাসের ওপর পড়ে এক বাস শ্রমিকসহ বিভিন্ন স্থানে ১৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত পরিমাণ এখনই বলা সম্ভব নয়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ পাওয়ার পরই তা বলা যাবে। 

নেত্রকোনা : নেত্রকোনার খালিয়াজুরী জগন্নাথপুর হাওরে নিজ জমিতে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। বেলা ১২টার দিকে ওই গ্রামের কৃষক মো. শহীদ মিয়া (৫২) নিজ জমিতে মরিচ তুলতে যান। হঠাৎ গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত হয়। এ সময় তিনি জমিতেই লুটিয়ে পড়েন। তিনি খালিয়াজুরী উপজেলার মেন্দিপুর ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামের মৃত কফিল উদ্দিনের ছেলে। স্ত্রীসহ এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে শহীদ মিয়ার। বাড়িজুড়ে চলছে শোকের মাতম।

খালিয়াজুরী থানার ওসি খোকন কুমার সাহা জানান, নিজের জমিতে পরিচর্চা করছিরেন শহীদ মিয়া। এ সময় বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে।

রাঙামাটি : বজ্রপাতে রাঙামাটির রাজস্থলীতে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তার নাম সাজেউ খিয়াং (৪৮)। গতকাল বিকালে ৫টার দিকে রাজস্থলী উপজেলার ১ নম্বর ঘিলাছড়ি ইউনিয়নের ধনুছড়ি পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, রাজস্থলী উপজেলায় হঠাৎ ঝড় হওয়া বৃষ্টি ও বজ্রপাত শুরু হয়। এ সময় ঘরের বাইরে কাজ করছিল সাজেউ খিয়াং। কাজ ছেড়ে বৃষ্টি দেখে বাসায় আসছিল তিনি। পরে হঠাৎ বজ্রপাতের শিকার হন। মুহূর্তে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। খবর পেয়ে দ্রুত ছুটে যায় স্থানীয় এলাকাবাসী ও পরিবারের সদস্যরা।  ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে রাজস্থলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

দুমকী (পটুয়াখালী) : পটুয়াখালীর দুমকীতে আকস্মিক ঘূর্ণিঝড়ে শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত ও গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ের তান্ডবে পল্লী বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের খুঁটি ভেঙে উপড়ে ও তার ছিঁড়ে লন্ডভন্ড হয়েছে। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া প্রচ- বেগের আকস্মিক ঝড়ে বাঁশবুনিয়ার নূর ইসলাম মৃধা, নলদোয়ানীর আ. কাদের হাং ও চরবয়েড়ায় মফিজ উদ্দিন, কামরুল হাওলাদার এবং আ. রহিম মাওলানার বাড়ির জামে মসজিদ, শ্রীরামপুরের সেলিম হাওলাদারের বসতঘরসহ বিভিন্ন এলাকায় শতাধিক ঘরবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ছাউনি উড়ে ও গছচাপা পড়াসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। ঝড়ের তান্ডবে জলিশা কদমতলা কলেজের ছাউনি উড়িয়ে নিয়ে গেছে, এল এ এম কলেজের টিন শেড অংশ বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ছাড়া গাছপালা কলাবাগান, রবি ফসলেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ের তান্ডবে বিভিন্ন স্থানে পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে ও উপড়ে তার ছিঁড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। রাজাখালী, মুরাদিয়া, আংগারিয়া ও পাঙ্গাশিয়ায় অন্তত অর্ধশতাধিক স্পটে তার ছিঁড়েছে, ৪০টি পয়েন্টে মেইন লাইনের ওপরে গাছ পড়ে থাকার খবর পাওয়া গেছে। ঝড়ের পড় বিদ্যুৎ কর্মীরা সব জনবল নিয়ে মাঠে নেমে কাজ শুরু করলেও কখন নাগাদ বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হবে তা বলা যাচ্ছে না। মুরাদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান সিকদার বলেন, ঝড়ে তার ইউনিয়নে বিভিন্ন ওয়ার্ডে কিছু ঘরবাড়ির ক্ষয়ক্ষতির খবর পেয়েছি। সরেজমিন দেখে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ তালিকা করা হবে। দুমকী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাহিন মাহমুদ বলেন, ঝড়ের পর পরই বিভিন্ন ইউপি চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ খবর