মঙ্গলবার, ৯ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা
হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর

ছয় মাস পেছাল তৃতীয় টার্মিনাল হস্তান্তর

নিজস্ব প্রতিবেদক

কাজ শেষ না হওয়ায় ছয় মাস পিছিয়েছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল হস্তান্তর। গত শনিবার হস্তান্তরের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল। ৫ শতাংশ কাজ বাকি থাকায় আগামী সেপ্টেম্বর ঠিকাদারের কাছে থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে টার্মিনালটি বুঝে নেবে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।

বেবিচক সূত্রে জানা গেছে, তৃতীয় টার্মিনাল প্রকল্পের ৫ শতাংশ কাজ এখনো বাকি। এর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি স্থাপন (ইন্সটলেশন), ক্যালিব্রেশন ও মেশিন প্রি-টেস্টিং। এসব বিষয় নিয়ে গত শনিবার বেবিচক সদর দফতরে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বৈঠক হয়। বৈঠকে বুয়েটের পর্যবেক্ষক দলও ছিল। সেখানে প্রকল্পের সময় ও ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাব দেয় জাপানি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মিতসুবিশি।

এ প্রসঙ্গে বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান জানান, ‘তৃতীয় টার্মিনালের ৫ শতাংশ কাজ এখনো শেষ হয়নি। এ কারণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টার্মিনালটি হস্তান্তরের জন্য আরও ছয় মাস সময় চেয়ে নিয়েছে। তবে সময় বাড়লেও প্রকল্পের ব্যয় বাড়বে না।’ গত বছরের ৭ অক্টোবর এই টার্মিনালের সফট ওপেনিং বা আংশিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চোখ ধাঁধানো উদ্বোধনীর মাধ্যমে পর্দা ওঠে মেগা এই প্রকল্পের। এখন টার্মিনাল পুরোদমে চালুর অপেক্ষায় যাত্রীরা। সে সময় বেবিচক জানিয়েছিল, ২০২৪ সালেই পুরোপুরি কার্যক্রম শুরু হবে থার্ড টার্মিনালের। সেই লক্ষ্য ধরেই এগোচ্ছে বেবিচক।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে বর্তমানে যে দুটি টার্মিনাল রয়েছে, তার যাত্রী ধারণক্ষমতা বছরে প্রায় ৭০ লাখ। তৃতীয় টার্মিনাল চালু হলে এ সংখ্যা দাঁড়াবে ২ কোটির কাছাকাছি। ৫ লাখ ৪২ হাজার বর্গমিটারের এ টার্মিনালে একসঙ্গে ৩৭টি প্লেন রাখার অ্যাপ্রোন (প্লেন পার্ক করার জায়গা) নির্মাণ করা হয়েছে। টার্মিনাল ভবন ২ লাখ ৩০ হাজার স্কয়ার মিটারের। ভবনের ভিতরে রয়েছে পৃথিবীর উল্লেখযোগ্য ও অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তির ছোঁয়া। টার্মিনালের ভিতরের ভবনটির নকশা তৈরি করেছেন বিখ্যাত স্থপতি রোহানি বাহারিন। প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এই প্রকল্প ব্যয় নির্ধারিত হয়েছে ২১ হাজার ৩৯৯ কোটি ৬ লাখ ৩৩ হাজার টাকা। মোট খরচের মধ্যে সরকার দেবে ৫ হাজার ২৫৮ কোটি ৩ লাখ ৮৮ হাজার এবং ঋণ হিসেবে জাপানের সংস্থা জাইকা দেবে ১৬ হাজার ১৪১ কোটি ২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। থার্ড টার্মিনালের নকশায় পর্যাপ্ত সংখ্যক এক্সেলেটর, সাবস্টেশন ও লিফট সংযুক্ত রাখা হয়েছে। থাকছে রাডার, কন্ট্রোল টাওয়ার, অপারেশন ভবন, বহুতল কারপার্ক। তিন তলাবিশিষ্ট এ টার্মিনাল ভবনটির স্থাপত্যরীতিতে আনা হয়েছে অনন্য নান্দনিকতা।

 

সর্বশেষ খবর