মঙ্গলবার, ৯ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা

বিষাদময় ঈদ নাবিকদের পরিবারে

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিক পরিবারে এবারের ঈদ এসেছে বিষাদ হয়ে। সোমালিয়ান জলদস্যুদের ডেরায় আটকে থাকা নাবিকদের প্রতিটা ক্ষণ কাটছে আতঙ্কে। রয়েছে জীবন হারানোর শঙ্কাও। আর এতে বিষাদময় হয়ে উঠেছে নাবিকদের পরিবারের ঈদ। ঈদের আনন্দের বদলে এখন তাদের পরিবারে চরম উৎকণ্ঠা।

যদিও কবির গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের কাছে যতটুকু তথ্য রয়েছে এখনো পর্যন্ত কোনো নাবিকের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেনি দস্যুরা। বরং আগের চেয়ে নাবিকরা ভালো আছেন। বন্দি হওয়ার কারণে তাদের ঈদ স্বাভাবিক কাটবে না এটা সত্য।’ তিনি বলেন, ‘দ্রুত সময়ের মধ্যে জিম্মিদশা অবসানের চেষ্টা চলছে। আশা করি ঈদের পরপরই নাবিকদের দেশে ফিরিয়ে আনতে পারব।’ জানা যায়, ভারত মহাসাগর থেকে ছিনতাই হওয়া এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিকের জিম্মিদশা চলছে প্রায় এক মাস ধরে। অন্যান্যবার নাবিকরা জাহাজ কিংবা পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করলেও এবারের ঈদ কাটবে সোমালিয়ান উপকূল থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে জলদস্যুদের ডেরায়। তাই জাহাজে জিম্মি ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আবদুর রশিদ, চিফ অফিসার মোহাম্মদ আতিকুল্লাহ খান, কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম চৌধুরীসহ সবার পরিবারে ঈদ এসেছে বিষাদ হয়ে। প্রিয়জনের জীবন শঙ্কায় রেখে ঈদ উদযাপন করছে না কোনো পরিবারই। কেনেনি ঈদের পোশাকও। চিফ অফিসার মোহাম্মদ আতিকুল্লাহ খানের ছোট ভাই আবদুর নূর খান আসিফ বলেন, ‘ভাই জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হয়ে জীবন-মরণ সন্ধিক্ষণে। তাই আমাদের ঈদ আসবে না এবার। ভাই যেদিন মুক্ত হয়ে দেশে ফিরে আসবে সেদিন আমরা ঈদ উদযাপন করব।’ জাহাজের চতুর্থ প্রকৌশলী তানভীর আহমদের মা জোছনা বেগম বলেন, ‘আমি ছেলের অপেক্ষায় আছি। বুকের ধনকে জলদস্যুদের কাছে জিম্মি করে কীভাবে ঈদ করি? ছেলেকে অক্ষত ফিরে পাওয়ায় হবে আমার জীবনের বড় ঈদ।’ প্রসঙ্গত, গত ১২ মার্চ মোজাম্বিকের মাপুতো থেকে কয়লা নিয়ে আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে যাওয়ার পথে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’। জাহাজে ২৩ জন নাবিক রয়েছেন। যাদের সবাই বাংলাদেশি নাগরিক।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর