মঙ্গলবার, ৯ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা

ঘূর্ণিঝড়ের এক দিন পরও স্বাভাবিক হয়নি জীবনযাত্রা

প্রতিদিন ডেস্ক

রবিবারের কালবৈশাখী ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পিরোজপুর, ভোলা, পটুয়াখালীর অনেক এলাকার বিদ্যুৎসহ সার্বিক ব্যবস্থায় এখনো স্বাভাবিকতা ফিরে আসেনি। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

পিরোজপুর : কালবৈশাখী ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় এখনো স্বাভাবিক হয়নি বিদ্যুৎ সরবরাহ। স্বল্পপরিসরে পিরোজপুর শহরে রাতে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা গেলেও অধিকাংশ এলাকা রয়েছে অন্ধকারে। এ ছাড়া প্রধান সড়কগুলো থেকে ঝড়ে ভেঙে পড়া গাছ অপসারণ করা সম্ভব হলেও গ্রামাঞ্চলের অনেক রাস্তাঘাট এখনো যান চলাচলের জন্য পুরোপুরি উপযোগী হয়নি। এতে মারাত্মক ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ।

ভোলা : কালবৈশাখী ঝড়ে ভোলার মনপুরা ও লালমোহন উপজেলায় ৫ শতাধিক ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে কয়েক হাজার ঘর। ঝড়ের সময় ঘর চাপা পড়ে এবং বজ্রপাতে নিহত হয়েছে দুজন। স্থানীয়রা জানায়, রবিবারের ঝড়ে অসংখ্য ঘর উড়ে গেছে। অনেক পরিবার আশ্রয় নিয়েছে স্বজনদের বাড়ি। কেউ কেউ বিধ্বস্ত ভিটিতেই কোনোরকম রাত কাটাচ্ছে।

বাউফল ও কলাপাড়া (পটুয়াখালী) : বাউফলে ২২টি খুঁটি ভেঙে পড়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া ঝোড়ো বাতাসে বাউফল ছালেহিয়া ফাজিল মাদরাসার পাঠদান ভবনের টিনের ছাউনি উড়ে গেছে। কর্পূরকাঠি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একটি টিনশেড ভবন বিধ্বস্ত হয়েছে। গাছ পড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে নাজিরপুর গ্রামের মান্নান হাওলাদারের ঘর। উপজেলার বিভিন্ন এলাকার শতাধিক ঘর বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বাউফল জোনাল অফিসের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. মুজিবুর রহমান চৌধুরী বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ২২টি খুঁটি ভেঙে গেছে। মাঠকর্মীরা বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন সচল করতে কাজ শুরু করেছেন, যাতে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যায়।

 

সর্বশেষ খবর