শিরোনাম
মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা
ঈদের ছুটিতেও খুনোখুনি

পুকুরে ভাসছিল যুবকের লাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর পল্লবী এলাকার এক পুকুরে ভাসছিল যুবকের লাশ। খবর পেয়ে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়। ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে পুলিশ লাশটি শনাক্ত করে। তার নাম পাভেল খান (২৫)। পুলিশ বলছে, কৌশলে তাকে বাড্ডা থেকে ডেকে নিয়ে খুন করা হয়েছে। অন্যদিকে, রাজধানীর হাতিরঝিলের পানিতে ভেসে থাকা অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধারের পর তার পরিচয় শনাক্ত করেছে পুলিশ। তার নাম ফয়েজ কাদের চৌধুরী (২৩)। তিনি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন।

পাভেল খুনের বিষয়ে পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অপূর্ব হাসান বলেন, প্রাথমিক তদন্তে আমরা জানতে পেরেছি পূর্বশত্রুতার জেরেই পাভেল হত্যাকাণ্ড। সে পেশায় বাস চালকের সহকারী (হেলপার)। রাজধানীর বাড্ডার পাঁচতলাবাজার এলাকায় থাকতেন। হত্যা করার জন্যই তাকে কৌশলে পল্লবী এলাকায় ডেকে নেওয়া হয়। পাভেলের নামেও থানায় একাধিক মামলা আছে। হত্যাকারীরাও তার পূর্বপরিচিত। হত্যাকারীদের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে। থানায় মামলা হয়েছে। আসামি গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। পাভেলের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা উপজেলায়। বাবার নাম শায়েস্তা খান। এদিকে, গতকাল হাতিরঝিল লেকে ভাসমান লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। হাতিরঝিল থানার ওসি আওলাদ হোসেন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, জাতীয় পরিচয়পত্রের সার্ভারের সঙ্গে ফিঙ্গার প্রিন্ট মিলিয়ে ফয়েজ কাদের চৌধুরীর লাশ শনাক্ত করা হয়। তার বাবার নাম ফজলুল কাদের চৌধুরী। ঢাকার উত্তর শাহজাহানপুরে বাসা। তার মায়ের নাম সৈয়দা শাহনাজ। ফয়েজ কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন। রবিবার রাত ১১টার দিকে রাগ করে বাসা থেকে বের হয়ে যায় ফয়েজ। পর সকাল সোয়া ১০টার দিকে তার লাশ ভাসতে দেখা যায়। ওসি আরও জানান, সে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়নরত ছিল। ধারণা করা হচ্ছে সে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর