বুধবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা

জলোৎসবে মাতোয়ারা পাহাড়

রাঙামাটি প্রতিনিধি

জলোৎসবে মাতোয়ারা পাহাড়

সাংগ্রাই অর্থাৎ জলোৎসব। এটিকে মারমা ভাষায় রিলংপোয়ে বলা হয়। পার্বত্যাঞ্চলে অর্ধমাসব্যাপী চলা বৈসাবি উৎসবের শেষ আনুষ্ঠানিকতা হচ্ছে সাংগ্রাই। মূলত এটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মারমা ও রাখাইন সম্প্রদায় পালন করে। বিশেষ করে নতুন বছর বরণ আর পুরান বছর বিদায় দিতে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়। শুধু রাঙামাটি নয়, এ উৎসব পর্যায়ক্রমে চলবে অন্য দুই পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে। গতকাল সকাল ১০টায় রাঙামাটির মারি স্টেডিয়ামে পার্বত্য জেলা পরিষদের সহায়তায় মারমা সংস্কৃতি সংস্থা-মাসসের উদ্যোগে আয়োজন করা হয় সাংগ্রাই উৎসব। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা। রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী বেগম ওয়াসিকা আয়েশা খান, স্থানীয় সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য জ্বরতী তঞ্চঙ্গ্যা, সেনাবাহিনীর রাঙামাটি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সোহেল আহমেদ, রাঙামাটি বিজিবির সেক্টর কমান্ডার লে. কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মো. মোশারফ হোসেন খান, জেলা পুলিশ সুপার মীর আবু তোৗহিদ প্রমুখ। এর আগে কাশিতে ঘণ্টা বাজিয়ে উৎসবের উদ্বোধন করেন সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার। এরপর মারমা তরুণ-তরুণীরা একে অন্যকে জল ছিটিয়ে কাবু করার প্রতিযোগিতায় নামে। এর আগে মারি স্টেডিয়াম জনসমুদ্রে পরিণত হয়।

কানায় কানায় ভরে যায় পাহাড়ি-বাঙালি তরুণ-তরুণীর পদচারণে। শুরু হয় মারমা ও রাখাইন নারী-পুরুষের নাচগানের আসর। চলে দিনব্যাপী।

প্রসঙ্গত, ৩ এপ্রিল শুরু হওয়া অর্ধমাসব্যাপী তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের বৈসাবি উৎসব শেষ হবে এ সাংগ্রাইয়ের মধ্য দিয়ে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর