নাটোরে জেলা নির্বাচন অফিসের সামনে থেকে সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী দেলোয়ার হোসেনকে অপহরণের পর মারধরের ঘটনার মামলায় পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করেছে। এদিকে অপহরণের পর মারধরের শিকার সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে আহতের ভাই বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে নাটোর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। গতকাল সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহত দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে থাকা তার বড় ভাই এমদাদুল হক সাংবাদিকদের বলেন, সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে দেলোয়ার হোসেনকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। আজ সকাল পর্যন্ত তার জ্ঞান ফেরেনি। সোমবার রাতে দেলোয়ারের ভাই মজিবুর রহমান বাদী হয়ে অজ্ঞাত ২০-২৫ জনের বিরুদ্ধে নাটোর সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। সেই মামলায় দুজনকে গ্রেফতারের কথা জানিয়েছে পুলিশ। গতকাল সকালে অভিযান চালিয়ে দুই আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাটোর সদর থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- সিংড়া উপজেলার কলম ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর এলাকার বাসিন্দা সুমন আহমেদ এবং একই উপজেলার শেরকোল ইউনিয়নের হারোবাড়িয়া এলাকার নাজমুল হক বাবু। সোমবার বিকালে জেলা নির্বাচন অফিসের ভিতর থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেনকে টেনেহিঁচড়ে বের করে এনে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। সোমবার সন্ধ্যায় এমদাদুল জানান, নির্বাচন অফিসের সামনে থেকে তার ভাই দেলোয়ারকে তুলে নিয়ে যায় সিংড়া উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক এবং শেরকোল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফুল হাবীব রুবেলের সন্ত্রাসী বাহিনীর মোহন ও তার লোকজন। সেখান থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে দেলোয়ারকে ব্যাপক মারধর করে তাদের বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে যায়। অবস্থা খারাপ দেখে নাটোর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগের প্রধান ডা. মো. আ হ ম মোস্তফা কামাল বলেন, আহত দেলোয়ার হোসেন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন। নাটোরের পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম জানান, গতরাতে ভুক্তভোগীর ভাই মজিবুর রহমান বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। সিসিটিভি ফুটেজ অ্যানালাইসিস করে রাতেই অভিযান চালিয়ে বাবু ও সুমন নামের দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ এ ঘটনা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।