বুধবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা
মিয়ানমারে যুদ্ধ

নাইক্ষ্যংছড়ি দিয়ে আরও ১৭ জনের অনুপ্রবেশ

বান্দরবান প্রতিনিধি

গত দুই দিনে মিয়ানমার সরকারি বাহিনীর ১৭ জন বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর আশ্রয় নিয়েছে। গতকাল সকালে জামছড়ি বিওপি সংলগ্ন আন্তর্জাতিক পিলার ৪৫-এর পাশ দিয়ে ১০ জন এবং দুপুরে একই সীমান্তের আন্তর্জাতিক পিলার ৪০-এর পাশ দিয়ে আরও পাঁচজন বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে। বিজিবির জামছড়ি বিওপিতে আত্মসমর্পণ করে আশ্রয় প্রার্থনা করে। এর আগের দিন সোমবার সন্ধ্যায় ঘুমধুম ইউনিয়নের বাইশফাঁড়ি সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করে মিয়ানমারের আরও দুজন। তাদের সবাইকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সদরে বিজিবি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নেওয়া হয়েছে। সেখানে এর আগে আরও ১৮০ জন অবস্থান করছে। সোমবার ও মঙ্গলবার মিয়ানমার সীমান্ত পার হয়ে যে ১৭ জন বাংলাদেশে ঢুকেছে তাদের মধ্যে কজন সেনা সদস্য এবং কজন সে দেশের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি)-এর সদস্য সে বিষয়ে ১১ বিজিবির পক্ষ থেকে কোনো তথ্য জানানো হয়নি। তবে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, অনুপ্রবেশকারী ১৭ জনের মধ্যে ১২ জনই মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সদস্য। এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিজিবির দায়িত্বশীল এক সূত্র জানান, সোমবার কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্ষ্যং সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশকারী মিয়ানমার বিজিপির ১৪ জনকেও ১১ বিজিবিতে হস্তান্তর করা হয়েছে। তাদের সবাইকে বিজিবি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাখা হয়েছে। তবে কবে তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে সে বিষয়ে কোনো তথ্য জানা যায়নি। মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে বিদ্রোহী আরাকান আর্মির সঙ্গে জান্তা সরকারের অনুগত বাহিনীর যুদ্ধের কারণে সীমান্ত অতিক্রম করে জান্তা সরকারের বিভিন্ন অনুগত বাহিনীর মোট ৫৩৮ জন বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। প্রথম দফায় ৩৩০ জনকে হস্তান্তর করা হলেও ১১ মার্চ থেকে বিভিন্ন দফায় আসা ২০৮ জনকে হস্তান্তরের বিষয়ে এখনো মিয়ানমার সরকারের সম্মতি পাওয়া যায়নি বলে জানা গেছে। স্থানীয় সূত্রগুলো বলছেন, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের কাছাকাছি এলাকাগুলোয় গোলাগুলি এখন কিছুটা কমে এলেও আরাকান রাজ্য জুড়ে যুদ্ধাবস্থা চলমান থাকায় তারা ভীতসন্ত্রস্ত জীবন যাপন করতে বাধ্য হচ্ছে।

 

সর্বশেষ খবর