বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা

গুলশানে বারের সামনে চুলোচুলি

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর গুলশান-২ নম্বরের ক্যাফে সেলেব্রিটা বারের সামনে কয়েকজন নারীর মধ্যে চুলোচুলি ও মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গতকাল মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, সম্প্রতি গুলশান-২ নম্বরের ক্যাফে সেলেব্রিটা বারের সামনে কয়েকজন নারীর মধ্যে হাতাহাতির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এ ঘটনায় একজন ভুক্তভোগী মামলা করেন। পরবর্তীতে ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে অভিযুক্ত তিন নারী শারমিন আক্তার মিম, ফাহিমা ইসলাম তুরিন ও নুসরাত আফরিকে গ্রেফতার করা হয়। মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, মারামারির ঘটনায় গ্রেফতার নারীদের মদপানের লাইসেন্স ছিল না। তারা অবৈধভাবে অতিরিক্ত মদপান করে মাতাল হয়ে মারামারিতে জড়ান। সেলেব্রিটা বার নারীদের কাছে অবৈধভাবে মদ বিক্রি করেছিল। তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, মদ পানের জন্য কোনো পুরুষ বা নারীর লাইসেন্স থাকলে বৈধ বার থেকে মদ কিনে পান করতে পারেন। কিন্তু পয়লা বৈশাখের রাতে গুলশানের মতো একটি অভিজাত এলাকায় তারা মদপান করেন। যাদের কারও লাইসেন্স ছিল না। লাইসেন্সহীন কারও কাছে বার কর্তৃপক্ষ মদ বিক্রি করতে পারে না। তাদের উচিত ছিল ওই নারীদের মদপানের লাইসেন্স পরীক্ষা করা। বার কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল বেসামাল নারীদের নিয়ন্ত্রণ করা। ওই নারীরা বার থেকে বের হয়ে রাস্তায় গিয়ে প্রকাশ্যে মারামারিতে জড়ান, যা গুলশানের বাসিন্দারা দেখেন। তারা ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। এ সময় অভিযোগকারী নারী রিতা আক্তার সুস্মি বলেন, তিনি তার বন্ধুর সঙ্গে খাবার খেতে ওই রেস্তোরাঁয় যান। একপর্যায়ে টয়লেটে যাওয়ার সময় দেখেন চারজন মেয়ে একসঙ্গে টয়লেটে ঢুকছে। বিষয়টি রেস্তোরাঁর ম্যানেজারকে জানান। ম্যানেজার মেয়েদের বের করে দেন। খাওয়া শেষে তিনি রেস্তোরাঁ থেকে বের হওয়ার পর ওই নারীরা তার ওপর হামলা করেন। গত ১৪ এপ্রিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ওই ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, বেশ কয়েকজন নারীর সঙ্গে লাল শাড়ি পরিহিত একজন নারীর হাতাহাতি হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর