ঢাকার কেরানীগঞ্জে ঘাটারচর মধুসিটি এলাকায় পয়লা বৈশাখে বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে এসে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ। গ্রেফতাররা হলো-  মিলন (২৩), মো. মাসুম (২৫), শহিদুল ইসলাম (২১), মো. রাহাত (১৮) ও মো. সোহাগ আলম  (২০)। গতকাল বিকাল ৫টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন কেরানীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দিন কবীর।

তিনি বলেন, ১৪ এপ্রিল বিকালে পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে ধর্ষণের শিকার মেয়েটি বন্ধু সিজান ও রিজভীকে নিয়ে কেরানীগঞ্জের ঘাটারচরে মধুসিটিতে ঘুরতে আসেন। হাউজিংয়ের ভিতর ফাঁকা জায়গায় বসে তিনি বন্ধুদের সঙ্গে ছবি তোলার সময় অজ্ঞাতনামা ৫/৭ জন বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন করতে থাকে। একপর্যায়ে রাত আনুমানিক সাড়ে ৭টার দিকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা তাকে এবং তার বন্ধুদের টেনেহিঁচড়ে হাউজিংয়ের আরও ভিতরে ফাঁকা জায়গায় নিয়ে সিজান ও রিজভীকে আটক করে এলোপাতাড়ি কিলঘুসি ও লাথি মেরে বিভিন্ন স্থানে জখম করে। পরবর্তীতে তারা মেয়েটিকে জোরপূর্বক হাউজিংয়ের ইটের সীমানাপ্রাচীর বেষ্টিত প্লটের বাউন্ডারির ভিতরে নিয়ে যায়। প্রথমে তিনজন তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে এবং বাইরে অন্যরা পাহারা দিতে থাকে। পরবর্তীতে ধর্ষণকারীরা মেয়েটি ও তার বন্ধুদের কাছে থাকা নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন নিয়ে যায় এবং কাউকে জানালে ক্ষতি করার হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। শাহাবুদ্দিন কবীর আরও বলেন, উক্ত দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ১৫ এপ্রিল সকালে মেয়েটি বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ধর্ষণকারীদের বিরুদ্ধে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা রুজুর পর রহস্য উদঘাটন ও ঘটনায় জড়িত আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারে একটি চৌকস আভিযানিক দল তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোত্তম পন্থা প্রয়োগ করে পাঁচ আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতাররা দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।