শিরোনাম
শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা

বিজিপির আরও ২৪ সদস্য এলো মিয়ানমার থেকে

কক্সবাজার ও টেকনাফ প্রতিনিধি

বিজিপির আরও ২৪ সদস্য এলো মিয়ানমার থেকে

মিয়ানমারে চলমান গৃহযুদ্ধের জের ধরে মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) আরও ২৪ সদস্য বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে টেকনাফের নাফ নদ পার হয়ে এ ১৩ জন বাংলাদেশ কোস্টগার্ড, টেকনাফ স্টেশনের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। গতকাল দুপুরে আরও ১১ জন বিজিপি সদস্য পালিয়ে আসেন।

এ নিয়ে বর্তমানে বিজিবি হেফাজতে মিয়ানমারের বিজিপিসহ বিভিন্ন বাহিনীর সর্বমোট ২৮৫ জন সদস্য আশ্রয় গ্রহণ করে বাংলাদেশে অবস্থান করছেন। বিজিবির সদর দফতরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম জানান, নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি) এর অধীনে থাকা ২৮৫ জনের মধ্যে বিজিপি সদস্য ছাড়াও সেনা সদস্যও রয়েছে। এর মধ্যে গত মঙ্গলবার মধ্য রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে এ ৪৬ জন পালিয়ে আসে। মঙ্গলবার দিনে প্রবেশ করছিল ১৮ জন। এর আগে সোমবার দুপুরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশফাঁড়ি সীমান্ত দিয়ে এ দুই সেনা সদস্য পালিয়ে আসেন। এরও আগে রবিবার টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে আসেন বিজিপির আরও ১৪ জন সদস্য। তারও আগ থেকে ১৮০ জন আশ্রয়রত ছিলেন। যাদের মধ্যে গত ৩০ মার্চ মিয়ানমার সেনাবাহিনীর তিনজন সদস্য নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। এর আগে ১১ মার্চ আশ্রয় নেন আরও ১৭৭ জন বিজিপি ও সেনা সদস্য। এ ছাড়া এরও আগে ফেব্রুয়ারির শুরুতে কয়েক দফায় বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন আরও ৩৩০ জন। যাদের গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ৩৩০ জনকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।

এদিকে সীমান্ত থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে গতকাল সকাল ১০টা পর্যন্ত রাখাইন রাজ্যের মংডু টাউনশিপের উত্তরে বলিবাজার, নাকফুরা, কাওয়ারবিল এলাকা থেকে বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়। জানা গেছে, রাখাইন রাজ্যে মংডু টাউনশিপের উত্তরের কয়েকটি গ্রাম থেকে মর্টার শেল ও গ্রেনেড বোমার বিস্ফোরণ ঘটেছে। ৫-৬ দিন ধরে সেখানকার নাকফুরা ও কাওয়ারবিলে বিজিপির সীমান্ত চৌকি ও সেনা ব্যারাক দখল নিয়ে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছে আরাকান আর্মি। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি ও সংঘর্ষ শুরু হয়। থেমে থেমে তা গতকাল সকাল ১০টা পর্যন্ত চলে। ওপারের মর্টার শেল ও গ্রেনেড বোমার বিস্ফোরণ টেকনাফ সীমান্তের মানুষ শুনতে পান। শক্তিশালী গ্রেনেড বোমা ও মর্টার শেলের বিস্ফোরণে টেকনাফের হ্নীলা, হোয়াইক্যং ও টেকনাফ পৌরসভার নাফ নদের তীরের অন্তত বেশ কয়েকটি গ্রামে ভূকম্পন অনুভূত হয়। সীমান্তের একটি সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে আরাকান আর্মি নাকফুরা এলাকার দুটি সীমান্ত চৌকি দখল করে নেয়। এরপর চৌকির সদস্যদের (বিজিপি) কিছু মংডুর পূর্ব দিকের কালাদান পাহাড়ে এবং কিছু সদস্য পশ্চিম দিকের নাফ নদে অতিক্রম করে বাংলাদেশ জলসীমানায় অবস্থান করতে থাকেন। এর মধ্যে ১৩ জন বিজিপি সদস্য টেকনাফের কোস্টগার্ড বাহিনীর কাছে অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করেন।

সর্বশেষ খবর