শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা

কিনোয়া চাষে মার্কিন প্রবাসীর বাজিমাত

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

কিনোয়া চাষে মার্কিন প্রবাসীর বাজিমাত

লালমনিরহাটে প্রথমবারের মতো ৭০ শতক জমিতে সুপার ফুড কিনোয়া চাষ করে বাজিমাত করলেন মার্কিন প্রবাসী চাষি রেজাউল করিম রাজু। নতুন এ ফসলটি চাষাবাদের মধ্য দিয়ে স্থানীয় কৃষকরা ঘুরে দাঁড়াচ্ছেন। উত্তর আমেরিকার শস্য কিনোয়াকে বলা হয় সুপার ফুড। দানাদার ফসলটি থেকে উচ্চ আমিষসমৃদ্ধ খাবার তৈরি হয়। মার্কিন প্রবাসী চাষি রেজাউল করিম রাজু কিনোয়া চাষে আশানুরূপ অগ্রগতির প্রত্যাশা করেছেন।

জানা গেছে, হাতীবান্ধা উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের আলতাফ হোসেনের ছেলে রেজাউল করিম আমেরিকায় থাকাকালীন কিনোয়া চাষ দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশে ফিরে এসে পঞ্চগড় থেকে ২ কেজি বীজ সংগ্রহ করে নিজের ৭০ শতাংশ জমিতে আবাদ শুরু করেন। তিনি বলেন, ৭০ শতাংশ জমির ফসল কাটা হয়ে গেছে। মাড়াইয়ের কাজ চলছে। ফলন ভালো হয়েছে। বিঘায় ৪-৫ মণ আসবে বলে আশা রাখি। বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি কিনোয়া বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা দরে। প্রতি বিঘায় ১৫-২০ হাজার টাকা খরচ করে লাখ টাকা আয় করা সম্ভব। লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য মতে, কিনোয়া দানাদার জাতীয় ফসল। এটি সাদা, লাল ও কালো রঙের হয়ে থাকে।

স্থানীয় সোহাগ হোসেন বলেন, কিনোয়া খেলে নাকি ক্ষুধা কম লাগে। বিমানের পাইলটরাই এটি খায়। আমরা তার খেতে এসে এই ফলনটি দেখছি। অনেক সুন্দর ফলন হয়েছে। আগামীতে আমার জমিতে ও লাগানোর চেষ্টা করব। একই এলাকার চাষি আকবর আলী বলেন, জমির পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলাম। পরে দেখতে পারি জমিতে বতুয়ার শাক গাছ। এত বতুয়া শাক দিয়ে কী হবে। পরে দেখতে পারলাম গাছের মাথায় থোকায় থোকায় দানা ধরেছে। এটি নাকি কিনোয়া ফসল। এই ফলনটি যদি লাভজনক হয় তাহলে আগামীতেই চাষাবাদ করব।

বর্গাচাষি সোলেমান আলী বলেন, আমি শুনছি তিন মাসে ফসলটি ঘরে তোলা যায়। প্রতি বিঘায় ফলন হয় ৪ থেকে ৫ মণ। প্রতি মণ ২০ হাজার টাকা হলে চার বিঘায় ৮০ হাজার টাকা পাওয়া যাবে।

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলার কৃষি অফিসার সুমন মিয়া বলেন, হাতীবান্ধা জেলায় এটি নতুন ফসল। কৃষি বিভাগ থেকে তাকে সহযোগিতা করা হচ্ছে। আগামীতে কিনোয়া আবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করব।

 

 

সর্বশেষ খবর