সোমবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা

শ্রমিক পুলিশ সংঘর্ষ ভাঙচুর

বকেয়া বেতন দাবি গার্মেন্ট শ্রমিকদের

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

শ্রমিক পুলিশ সংঘর্ষ ভাঙচুর

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বকেয়া বেতনের দাবিতে গতকাল সড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শ্রমিকদের -বাংলাদেশ প্রতিদিন

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা বিসিক শিল্পনগরী এলাকায় বকেয়া বেতনের দাবিতে বিদ্যুতের খুঁটি ফেলে সড়ক অবরোধ করেছে ক্রোনি গ্রুপের অবন্তী গার্মেন্টসের শ্রমিকরা। এ সময় শ্রমিকদের সড়ক থেকে সরিয়ে দিতে চাইলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। শ্রমিকরা পুলিশের ওপর বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। এ সময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা পুলিশের জলকামানসহ চার-পাঁচটি যানবাহন ভাঙচুর করেছে। এতে দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় পুলিশের তিন সদস্য ও পাঁচ শ্রমিক আহত হয়েছেন। গতকাল বেলা ১১টা থেকে নারায়ণগঞ্জ মুন্সীগঞ্জ-মোক্তারপুর সড়কের শাসনগাঁও এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গার্মেন্টটিতে প্রায় ৫ হাজার শ্রমিক কাজ করেন। শ্রমিকরা জানান, গত মার্চ মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে শ্রমিকদের। ঈদের পর  ২০ এপ্রিল  কারখানা খুলেছে। ২২ তারিখ তাদের বকেয়া পরিশোধ করার কথা ছিল। ২১ এপ্রিল সকালে কাজে যোগ দিতে এসে বকেয়া বেতনের দাবি করেন শ্রমিকরা। মালিকপক্ষ মঙ্গলবার বেতন দেওয়া যাবে না জানালে ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা সড়কে নেমে এসে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এ সময় বিদ্যুতের খুঁটি ও বাঁশ ফেলে সড়কের দুই পাশ বন্ধ করে দেন। একপর্যায়ে শ্রমিকরা গার্মেন্ট প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুরের চেষ্টা চালান। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ২২ এপ্রিল বেতন পরিশোধের আশ্বাস দিয়ে চলে যেতে বলে। কিন্তু শ্রমিকরা আজকেই বেতন না দিলে সড়ক ছাড়বে না বলে জানিয়ে দেন। একপর্যায়ে পুলিশ অবরোধকারী শ্রমিকদের রাস্তা থেকে তুলে দিতে চাইলে শ্রমিকরা পুলিশের ওপর চড়াও হয়ে বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা ভাঙচুর করেন পুলিশের জলকামানের গাড়িসহ চার-পাঁচটি যানবাহন। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাবার বুলেট ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ শিল্প পুলিশ-৪ এর পরিদর্শক (ইনটেলিজেন্স) সেলিম বাদশা জানান, শ্রমিকদের বকেয়া বেতন ঈদের আগে দিতে পারেনি মালিকপক্ষ। বৃহস্পতিবার দিতে চাচ্ছিল। এ নিয়ে কথা চলার মাঝেই শ্রমিকরা সড়কে নেমে পড়েন। মালিকপক্ষ পরবর্তীতে মঙ্গলবার বেতন দিতে রাজি হলেও শ্রমিকরা তা মানেনি। তারা আজই বেতন চায়। ওই সময় সড়ক অবরোধ করে থাকা শ্রমিকদের সরে যেতে বললে তারা পুলিশের ওপর ব্যাপক ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে আমাদের কয়েকজন আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ উপায়ন্তর না পেয়ে টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ক্রোনি গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার ইনতিসার আহমেদ জানান, প্রতিষ্ঠানের মূল্যবান জিনিসপত্র রক্ষায় আমরা পুলিশকে খবর দিই। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

সর্বশেষ খবর