সোমবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা

ভীতু লালঘাড় পেঙ্গার দেখা মেলে না আর

নজরুল মৃধা, রংপুর

ভীতু লালঘাড় পেঙ্গার দেখা মেলে না আর

ভীতু ও লাজুক প্রকৃতির লালঘাড় পেঙ্গা পাখি এখন আর আগের মতো দেখা যায় না। কদাচিত দুই-একটির দেখা মিললেও মানুষের আনাগোনা টের পেলে ভীতু এই পাখিটি ফুরুত করে উড়ে যায়। দেশীয় প্রজাতির হলেও এ পাখিটি আমাদের প্রকৃতি থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে।  লালঘাড় পেঙ্গা পাখিটি সম্পর্কে জানা গেছে, পাখির দৈর্ঘ্য ২২-২৭ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। ওজন ৫১-৭৫ গ্রাম। কপাল, গলা ও বুকের কিছু অংশ কুচকুচে কালো। মাথা ঘাড় ধূসর। ঘাড় লাল। পিঠ জলপাই-বাদামি। লেজ কালচে। বুকের নিচ থেকে পেট পর্যন্ত গাড়ো বাদামি। লেজের তলা লাল। ঠোঁট কালো। চোখ রক্ত লাল। পা ধূসর কালো। এরা লাজুক স্বভাবের এবং ভীতু প্রকৃতির। একটু শব্দ পেলেই উড়ে যায়। পাখিটি স্থানীয় প্রজাতির হলেও এটি এখন আর আগের মতো দেখা যায় না।  তাই পাখিপ্রেমীরা এ পাখিকে বিরলের খাতায় রেখেছেন। বাঁশঝাড় কিংবা ঝোপ-জঙ্গলে বেশি দেখা যায়। বিশেষ করে চওড়া পাতার আড়ালে লুকিয়ে থাকতে এরা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। দলবদ্ধভাবে এরা বাস করে। দলে কমপক্ষে ২৫-৩০টি পাখি একত্রে বিচরণ করে। এদের প্রজনন সময় মার্চ থেকে আগস্ট। ডিম পাড়ে ৩ থেকে ৪টি। ফুটতে সময় লাগে ১৫ থেকে ২০ দিন। বাসা বাঁধে ভূমি থেকে কয়েক মিটার উঁচুতে। বাসা বাঁধার উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করে বাঁশপাতা, ঘাস, শিকড়, আগাছা ইত্যাদি। এদের খাবার হচ্ছে ছোট শামুক, কীটপতঙ্গ। ছোট ফলও এরা খেয়ে থাকে। সম্প্রতি এই দুর্লভ লালঘাড় পেঙ্গা পাখির ছবিটি তুলেছেন রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক ড. তুহিন ওয়াদুদ। তিনি বলেন, নিরাপদ আবাসস্থল কমে যাওয়ায় এ পাখি হারিয়ে যেতে বসেছে। পাখির আবাসস্থল নিশ্চিতে তিনি সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।

সর্বশেষ খবর