সোমবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা

তুচ্ছ ঘটনায় সংঘর্ষ থামছে না, দুই স্থানে আহত ৩৭

প্রতিদিন ডেস্ক

তুচ্ছ ঘটনায় ফরিদপুর ও হবিগঞ্জে সংঘর্ষে ৩৭ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষে নানা ধরনের দেশি অস্ত্র ব্যবহার করা হয়। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

ফরিদপুর : ফরিদপুরের সালথায় পোলট্রি মুরগির ফার্ম দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ভাঙচুর করা হয়েছে বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ও দোকানপাট। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার বিকালে সালথা উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের গোপালিয়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিবেশ শান্ত করে।

স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ জানান, গোপালিয়া উত্তরপাড়ায় ইয়ার আলী নামে এক ব্যক্তির একটি মুরগি ফার্মের ঘর রয়েছে। শনিবার বিকালে ওই ঘরের পাশে তিনি আরও একটি মুরগির ঘর নির্মাণ করতে গেলে  তার চাচাতো ভাই ওমর আলী বাধা দেয়। তবে তারা দুজন চাচাতো ভাই হলেও গ্রাম্যদল করেন আলাদা। ওমর আলী সোনাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খায়রুজ্জামান বাবু মোল্যার সমর্থক আর ইয়ার আলী যুবলীগ নেতা সোহেল রানা ফরহাদের সমর্থক। পরে ওই দুজনের কথা কাটাকাটির জেরে উভয় পক্ষের কয়েক শ লোক লাঠিসোঁটা, ঢাল, কাতরা, বল্লম, রামদা, ছ্যানদা, টেঁটা ইত্যাদি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে গোপালিয়া মাঠের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় কয়েকটি বাড়ি ও দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়।

সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ১০ রাউন্ড শর্টগানের ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় ১১ জনকে আটক করা হয়েছে।

হবিগঞ্জ : হবিগঞ্জের লাখাইয়ে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে চারজনকে জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও বাকিদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি ও চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। শনিবার বিকালে উপজেলার তেঘরিয়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কথা কাটাকাটির জেরে তেঘরিয়া গ্রামের মুখলিছ মিয়ার ছেলে জাবেদ মিয়াকে পাশের মৌবাড়ী গ্রামের আক্কাস মিয়াসহ তাদের লোকজন মারধর করে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের লোকজন দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। লাখাই থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) চম্পক ধাম জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এখনো কোনো পক্ষ অভিযোগ দেয়নি। তবে এ ঘটনায় দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।

সর্বশেষ খবর