আশুলিয়ায় ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ে আহত ববিতা আক্তার (৩৭) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তিনি হামলার ছয় মাস আগে তার স্বামীকে একটি কিডনি দিয়ে বাঁচিয়েছেন। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ববিতা আক্তারের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডিউটি ইনচার্জ মো. ইউসুফ আলী। পেশায় গৃহিণী ছিলেন তিনি। গত ১৫ এপ্রিল সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে রেস্তোরাঁয় রাতের খাবার খেয়ে বাসায় ফেরার সময় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পল্লীবিদ্যুৎ ও বাইপাইলের মাঝামাঝি এলাকায় ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে গুরুতর জখম হন ববিতা। গত রাত পৌনে ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। ছিনতাইয়ের ঘটনায় গত ১৭ এপ্রিল ববিতার দেবর হৃদয় বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। ববিতার ছেলে সাজু বলেন, গত ১৫ এপ্রিল আম্মু, আমি আর আমার ছোট বোন রাতের খাবার খেয়ে রিকশাযোগে বাসায় ফিরছিলাম। আমরা ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পল্লিবিদ্যুৎ ও বাইপাইলের মাঝামাঝি সোহেল স্কয়ার হাসপাতালের বিপরীত পাশে পৌঁছালে চলন্ত মোটরসাইকেল নিয়ে দুই ছিনতাইকারী বাম পাশ দিয়ে এসে আম্মুর হাতে থাকা ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। এ সময় রিকশা থেকে পড়ে আমার মা ও আমি গুরুতর আহত হই। আমার মা মাথায় আঘাত পেয়ে জ্ঞান হারান, আমার পা মচকে যায়। মা ওই যে জ্ঞান হারালেন, আর ফিরল না। আমি ছিনতাইকারীদের ফাঁসি চাই। আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিলন ফকির বলেন, এ ঘটনায় মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী নারীর দেবর। ববিতা আক্তারের মৃত্যুর বিষয়টি শুনেছি। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলমান। এ বিষয়ে আশুলিয়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ এস এম সায়েদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, একটি ছিনতাই মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।